বর্ষা প্রিয়দর্শিনী ও অনুভব মোহান্তির বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। অনুভব স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, বিয়ের ৮ বছর কেটে গেলেও তাঁকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে দেননি বর্ষা। মামলা গড়িয়েছে কটকের দায়রা আদালতে। অবিলম্বে বর্ষাকে অনুভবের পৈতৃক ভিটে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
প্রথমে দিল্লির আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন অনুভব। সেই মামলা ওড়িশায় পাঠিয়ে দিয়েছে দিল্লির আদালত। প্রাথমিকভাবে জয় পেয়েছেন অনুভব। স্ত্রীকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
কটকের সাব-ডিভিশন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশ, অনুভবের পৈতৃক ভিটে অবিলম্বে ছাড়তে হবে বর্ষাকে। অন্য জায়গায় ভাড়ায় থাকার জন্য বর্ষাকে প্রতিমাসে ১০ তারিখ বা তার আগে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে অনুভবকে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিবাহবিচ্ছেদ মামলা চলায় অনুভবের বৃদ্ধ বাবা-মাকে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। তাই বর্ষাকে ওই বাড়ি ছাড়তে হবে।
কালবিলম্ব না করে আদালতের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে বর্ষাকে ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন অনুভব। প্রথম কিস্তি পাওয়ার পর ২ মাসের মধ্যে বর্ষাকে ঘর খালি করে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কটকের আদালত।
২০১৪ সালে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ৪০ বছরের অনুভব মোহান্তি। অভিনেতার পাশাপাশি তিনি ওড়িশার শাসক দল বিজেডির কেন্দ্রপাড়া আসনের সাংসদও। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় অশান্তি।
২০২০ সালে দিল্লির আদালতে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেন অনুভব। পরের বছর সেই মামলা কটকের আদালতে পাঠিয়ে দেন দিল্লির আদালতের বিচারক।
ইতিমধ্যেই তাঁদের দাম্পত্য় নিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন অনুভব। তিনি দাবি করেছেন, বিয়ের পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি স্ত্রী-সুখ থেকে বঞ্চিত। চেষ্টা করলেও বর্ষা সাড়া দেননি।
পাল্টা অনুভবকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বর্ষা। তাঁর বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন।
এককালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন অনুভবের অভিনেত্রী। পত্নী সেই সঙ্গে ঘর ভাড়া ও সংসার চালানোর জন্য মাসে মাসে ৭০ হাজার খোরপোষও চেয়েছেন। এখনও ডিভোর্স মামলা আদালতে বিচারাধীন।