বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা নিয়ে খবরের এখন শিরোনামে ওড়িশার তারকা দম্পতি। পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছেন অনুভব মোহান্তি ও বর্ষা প্রিয়দর্শিনী। মামলা গড়িয়েছে আদালতে। পরিস্থিতি এমন যে ওড়িশার আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত অভিযোগ-পাল্ট অভিযোগ তোলা বন্ধ রাখুন। অভিনেতা তথা বিজেডি সাংসদ অনুভব মোহান্তির অভিযোগ, বিয়ের ৮ বছর কেটে গেলেও স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি তাঁর। বিবাহবিচ্ছেদ দাবি করেছেন তিনি।
৪০ বছরের অনুভব মোহান্তি ওড়িশার শাসক দল বিজেডির কেন্দ্রপাড়া আসনের সাংসদ। ২০১৪ সালে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন। বিয়ের কয়েক বছর সুখে কাটলেও শুরু হয় পারিবারিক কলহ। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন অনুভব-প্রিয়দর্শিনী।
২০২০ সালে দিল্লির আদালতে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেন অনুভব। ২০২১ সালে মামলাটি কটকের আদালতে পাঠায় দিল্লির আদালত।
স্বাভাবিক দাম্পত্য ছিল না তাঁদের,অভিযোগ অনুভবের। দাবি করেছেন, তাঁকে স্ত্রী-সুখ থেকে বঞ্চিত করেছেন বর্ষা।
নেট মাধ্যমে স্ত্রী বর্ষার বিরুদ্ধে অনুভব মোহান্তি অভিযোগ করেছেন, ৮ বছরে স্ত্রীর সঙ্গে একবারও সঙ্গম করেননি।
মোহান্তির দাবি, বর্ষার সঙ্গে সুস্থ শারীরিক সম্পর্কের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। তবে নিরাশই হয়েছেন। পারিবারিক অশান্তির কারণে রাজনৈতিক ও অভিনয় জীবন প্রভাবিত হচ্ছে বলেও তাঁর অভিযোগ।
পাল্টা অভিযোগ করেছেন বর্ষা প্রিয়দর্শিনীও। ২০২০ সালে অনুভব মোহান্তির বিরুদ্ধে গৃহস্থ হিংসার মামলা করেন। বর্ষার অভিযোগ, অনুভব নেশাখোর। একাধিক মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক।
মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার বলে দাবি করেছেন বর্ষা। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ঘর ভাড়া ও সংসার চালানোর জন্য মাসে মাসে ৭০ হাজার টাকা চেয়েছেন।
গত ৩ জুন কটকের সাব-ডিভিশন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে অনুভবের ছাড়তে হবে প্রিয়দর্শিনীকে।
প্রতি মাসের ১০ তারিখ বা তার আগে প্রিয়দর্শিনীকে ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছে আদালত।
এর পাশাপাশি আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যতদিন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে ততদিন নেট মাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করতে পারবেন না অনুভব ও বর্ষা।