বাংলার ছেলে কুমার শানু বলিউডের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কতটা জনপ্রিয় তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। তাঁর গাওয়া একের পর এক গান আজও হিট। একসময় হিন্দি গানের দুনিয়ায় রীতিমতো রাজ করেছেন কুমার শানু। সেই কুমার শানুকেও নিয়েই বিতর্ক, যা আজও তরতাজা। বলিউডের চেনা মুখ কুণিকা সদানন্দ, যাঁকে একাধিক হিন্দি সিনেমা-সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল, তবে সেইসব চরিত্রই ছিল নেগেটিভ। কসময় কুমার শানুর সঙ্গে প্রেমের কারণে বেশ চর্চায় ছিলেন কুনিকা সদানন্দ। সেটা ছিল ১৯৯৩ সাল। সম্প্রতি ফের একবার তাঁর পুরনো সেই সম্পর্কের কথা উঠে এলে কুনিকা বলেন, বর্তমানে আর তাঁর সেই সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে তাঁর অসুবিধা নেই, আবার সেই সম্পর্ক না থাকার কারণে কোনও অনুশোচনাও নেই।
কুণিকা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আজ আমার স্বীকার করতে কোন লজ্জা নেই যে আমি ১৯৯৩ সালে কুমার শানুর সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে ছিলাম। সে সময় কুমার শানু একটা ভাঙা বিয়ের মধ্যে ছিলেন এবং তিনি নিজের পরিবার থেকে দূরে ছিলেন। যতদিন এই সম্পর্ক ছিল, সেটা ভালোই ছিল। যদিও কুমার শানুর সঙ্গে কুণিকার সেই সম্পর্ক টেকেনি।'
অভিনেত্রী বলেন, 'আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছি ২৫ বছর হল। কুমার শানু এখন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গে সুখে আছেন। আমরা একে-অপরকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। আমার কোনও অনুশোচনা নেই। আমার ও শানুর চ্যাপ্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে আর আমি সিঙ্গল লাইভ উপভোগ করছি।' এই সাক্ষাৎকারেই কুণিকা জানান যে তাঁর দুটো বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। অভিনেত্রী এখন সিঙ্গল আর নিজের নাতির সঙ্গে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন।
একসময় বিয়ে ভাঙার পর কুমার শানুর সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনশিপে ছিলেন কুনিকা। তবে সেই সম্পর্কও টেকেনি। কুনিকা বলেন, 'আমি এখন আর সঙ্গীর প্রয়োজন বোধ করি না। আমার বড় ছেলে বিবাহিত এবং আমি এখন ঠাকুমা হয়ে গিয়েছি। আর আমার ছোট ছেলে বিনোদন দুনিয়ায় কাজ করতে চায়। তাই, কোনোও কিছু নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই।' প্রসঙ্গত কুনিকার জীবন ছিল উত্থান-পতনে ভরা। অল্পবয়সে বিয়ের, খুবই খারাপভাবে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ। সন্তানদের হেফাজতে পাওয়ার লড়াই, তবে কুনিকার কথায় তিনি কখনও আত্মবিশ্বাস হারাননি। একসময় অভিনয় কেরিয়ার গড়ার জন্য মুম্বই চলে আসেন, একাধিক সিরিয়াল, সিমেমায় কাজও করেন। আবার আইন নিয়ে পড়াশোনা করে পরবর্তী সময়ে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। তৃতীয় বিয়ে নিয়ে ৬০ বছরের কুণিকা বলেন যে এখন তাঁর পার্টনারের দরকার নেই। এই জীবনটা তিনি খুব ভালোভাবে উপভোগ করছেন।