বরাবরই একটু ঘরকুনো হিসাবেই পরিচিত টলিউড অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। আর অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও মিমি পুজোতে ধরা দিলেন একেবারে পাড়ার মেয়ে হয়ে। নিজের আবাসনেই পুজো কাটাচ্ছেন মিমি। পঞ্চমী থেকেই মিমির কসবার আবাসনে পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেখানে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত থাকতে দেখা গিয়েছে সাংসদ-অভিনেত্রীকে। বাদ গেল না অষ্টমীর রাতও। সন্ধিপুজোয় আবাসনের আর দশজনের সঙ্গে প্রদীপ জ্বালালেন মিমি।
অষ্টমীর দিন মিমিকে দেখা গেল খুব সুন্দর সাজে। মিমি পরেছিলেন গোলাপি ও নীল রঙের দারুণ সুন্দর শাড়ি, সঙ্গে স্লিভলেস ব্লাউজ। মেকআপ ছিল নামমাত্র। কানে ভারী সোনার দুল ও চুল খোঁপা করেছিলেন অভিনেত্রী। কপালে ছোট টিপ। এই সাজেই মিমিকে দারুণ লাগছিল। অষ্টমীর সকালে তাঁকে দেখা গেল একেবারে ঘরোয়া রূপে। আবাসনের পুজোর কাজ করছেন মিমি। সকলকে দিচ্ছেন অঞ্জলির ফুল। কচিকাঁচাদের সঙ্গে নিয়েই দিলেন অষ্টমীর অঞ্জলি। প্রত্যেক বছরই মিমি তাঁর আবাসনের পুজোর সঙ্গেই যুক্ত থাকেন। সেই সময় কোনও তারকা সত্ত্বা নয়, বরং একেবারে পাড়ার মেয়ে হয়ে ওঠেন মিমি।
পুজো উপলক্ষ্যে মিমির কাছে চলে এসেছেন মা-বাবাও। তাই পরিবারকে সঙ্গে নিয়েই হইহই করে কাটছে মিমির এ বছরের পুজো। সপ্তমীর দিনও দেখা গিয়েছিল মায়ের সাজের দায়িত্ব পরেছিল সাংসদ-অভিনেত্রীর ওপর। সেই দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করেছেন মিমি। অষ্টমীর দিনটাও পরিবার ও পাড়ার সকলের সঙ্গে কাটান অভিনেত্রী। পুজোর সময়েই মিমির সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর বন্ধু ও অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। পুজোর কয়েকটা দিন কোনও কাজ করেন না নায়িকা। বোধন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সবটাই তাঁর আবাসনেই কাটে। আবাসনের কচিকাঁচাদের নিয়ে পুজোটা ভালোই কাটছে তাঁর।
নায়িকার ধুনুচি নাচও খুবই জনপ্রিয়। সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করে বসে রয়েছেন অনুরাগীরা। এ বারেও তার অন্যথা হবে না। নবমীর সন্ধ্যাতেই দেখা যাবে মিমির ধুনুচি নাচ। পুজোয় মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত নতুন ছবি ‘রক্তবীজ’। আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং মিমির এই নতুন ছবি দেখে খুশি অনুরাগীরা। পুজোর পর আবার তাঁর প্রথম হিন্দি ছবির প্রচার শুরু হয়ে যাবে। তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ৩ নভেম্বর। নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’-তে দেখা যাবে নায়িকা হিসেবে। এ ছাড়া সম্প্রতি টোটা রায়চৌধুরীর সঙ্গে একটি সিরিজের শ্যুটিংও শেষ করেছেন নায়িকা।