এক জায়গায় কখনও তাঁকে দেখা যায় না। মাঝে মাঝেই শহুরে জীবনযাপন থেকে ক্লান্ত হয়ে ওঠেন মনামী। আর তখনই তিনি পাড়ি দেন অজানার উদ্দেশ্যে। এই মুহূর্তে মনামী রয়েছেন বিদেশে। আর সেখান থেকেই একগুচ্ছ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিচ্ছেন অভিনেত্রী। তবে একা নয়, এবারেই মনামীর সফরসঙ্গী তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিক সৈকত বারুই। তাঁর সঙ্গেই দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ান অভিনেত্রী।
মনামী ও সৈকতের সম্পর্ক প্রায় ১৫ বছরের। তবে ৪০ পেরিয়ে গেলেও এখনও বিয়ের পিঁড়িতে বসার ইচ্ছে দুজনের কারোরই নেই। বিয়ে নিয়ে যতবারই মনামীকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি ততবারই বিষয়টি একেবারে এড়িয়ে গিয়েছেন। যদিও তাঁর ও সৈকতের সম্পর্ক নিয়ে কোনও রাখঢাক কোনওদিনই করেননি। তবে দুজনের কেউই এখন বিয়ে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন না। বরং চুটিয়ে গোটা পৃথিবী ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। এই মুহূর্তে মনামী ও সৈকত জাপানে রয়েছেন। আর সেখানে সৈকতের লেন্সে বন্দি হচ্ছেন মনামী।
জাপান মানেই মনোরেল। জাপান মানেই বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিয়ামা। চোখজুড়ানো প্রাকৃতিক দৃশ্য। সে সব প্রাণ ভরে উপভোগ করছেন মনামী ও সৈকত। আর মনামী মানেই তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট। জাপানে তাঁর নিত্য নতুন ফ্যাশন সকলকে মুগ্ধ করছে। প্রত্যেকটি অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। কখনও তিনি সকালের মিঠে রোদে নিজেকে সেঁকে নিয়েছেন। তার ছোট্ট ঝলক শোভা পাচ্ছে তাঁর ইনস্টাগ্রামে। কখনও পাকদণ্ডির মতো আঁকাবাঁকা রেলপথ দিয়ে ছুটে চলেছে মনোরেল। মনামী সেই ভিডিয়োও ভাগ করে নিতে ভোলেননি। তার পরেই পৌঁছে গিয়েছেন মাউন্ড ফুজিয়ামার কাছাকাছি। কখনও যে হোটেলে উঠেছেন তার বারান্দায় বসে দু’চোখ ভরে দেখেছেন তাকে। কখনও তিনি পাহাড়ের কাছাকাছি পৌঁছে ফুজিয়ামাকে সাক্ষী রেখে ছবি তুলেছেন। এই ছবিগুলো পোস্ট করে ক্যাপশনে মনামী লিখেছেন, এই জন্যই এত পরিশ্রম করি। এবং মাঝেমধ্যে করিও না।
অভিনেত্রীর পায়ের তলায় সর্ষে। দেশ-বিদেশ ঘুরতে তাঁর বেশ ভালই লাগে। সিনেমা, ছোটপর্দা, সিরিজ, ইউটিউব সব মিলিয়ে মনামী খুবই ব্যস্ত। বেশ কিছু মাস জমিয়ে কাজ করার পর তিনি ঘুরতে চলে যান। গত বছর জন্মদিনে মনামী গিয়েছিলেন ব্যাঙ্কক। সেখান থেকে তিনি তাঁর একাধিক ছবি শেয়ার করেছিলেন। সেই সফরেও সঙ্গী ছিলেন সৈকত। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পদাতিক ছবির ট্রেলার। ছবিটি আন্তর্জাতিক পরিচালক মৃণাল সেনের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত। এই ছবিতে মৃণাল সেনের পত্নী গীতা সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে মনামীকে।