ঐশ্বর্য ও অভিষেক বচ্চনের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই নীরবতা ভাঙলেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি তাঁর পোস্টে কারও নাম নেননি। তবে চলমান গুঞ্জনের দিকেই তিনি ইশারা করেছেন, সেটা তাঁর লেখা দেখে অনুমান করা হচ্ছে।
অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, তিনি তাঁর পরিবার সম্পর্কে খুব কম কথা বলেন। পরিবারের গোপনীয়তা বজায় রাখতে তিনি পছন্দ করেন। জানান, যে গুজবগুলো রটে, যেগুলো সত্যি কি না তা যাচাইও করা হয়নি, সেগুলো পাঠক পড়লে তাদের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। এতে গুজব আরও দানা বাঁধে। তবে গুজব নিয়ে অমিতাভ বচ্চন এমন সময় এই পোস্ট করছেন যখন তাঁর ছেলে ও বউমাকে নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন চিহ্নের ক্ষতিকর দিক নিয়ে লিখেছেন বচ্চন
নিজের ব্লগে প্রশ্নচিহ্নের ক্ষতিকর দিক নিয়েও লিখেছেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি লেখেন, জীবনে দাঁড়াতে এবং যে কোনও জিনিসের মোকাবিলার জন্য, বিশ্বাস করার জন্য অনেক সাহস, প্রত্যয় এবং সততার প্রয়োজন। লেখেন, 'আমি আমার পরিবার সম্পর্কে খুব কমই কিছু বলি, কারণ এটা ব্যক্তিগত বিষয়। আর জল্পনা শুধুই জল্পনা। যাচাই করা ছাড়া কোনও জিনিস তৈরি করার অর্থ হল গুজব রটানো আর তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।'
বচ্চনের কথায়, 'নিজের পেশায় কারও থাকা নিয়ে আমি কখনও প্রশ্ন তুলব না। তাঁরা সমাজ সেবার জন্য যে চেষ্টা করে চলেছেন তার প্রশংসাও করছি। কিন্তু প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহার করে মিথ্যা বা বিশেষভাবে নির্বাচিত তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির জন্য আইনি সুরক্ষা থাকতেই পারে। কিন্তু এভাবেই সন্দেহজনক তথ্যের বীজ বপন করা হয়। এই প্রশ্নবোধক চিহ্নটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে হয়।'
বিগ বি আরও লেখেন, 'আপনি যা চান লিখুন এবং প্রকাশ করুন। কিন্তু আপনি যখন একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে সেটা লেখেন তখন একজন পাঠকের কাছে আপনার নিবন্ধটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকে না। বরং পাঠক সেই নিবন্ধটি পড়েন। তিনি প্রভাবিত হন। তাঁর চিন্তাভাবনাও সেই পথে পরিচালিত হতে পারে।'
তিনি আরও লেখেন, কিছু মিথ্যা বা সন্দেহজনক কথা দিয়ে মিথ্য়াকে প্রকাশ করে নিজের দায়িত্ব শেষ করলে হয় না। এর কী প্রভাব বা কী পরিণাম সেই সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা দরকার। তাঁর পোস্ট দেখে অনেকের মনে হয়েছে, একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের কী করা উচিত তা নিয়ে সচেতন থাকা দরকার।
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অভিনেত্রী তাঁর পরিবার ছাড়াই অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন গুঞ্জন অন্য মাত্রা পায়। সম্প্রতি, ঐশ্বর্য তাঁর কন্যা আরাধ্যার জন্মদিনের পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। গত ১৬ নভেম্বর আরাধ্যা ১৩ বছরের হয়েছে। সেই পোস্টে ঐশ্বর্য, আরাধ্যা এবং অভিনেত্রীর মা বৃন্দা রাইকে দেখা গেলেও পরিবারের বাকি সদস্যদের চোখে পড়েনি।