প্রতি বছর উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে মহানায়ক সম্মান প্রদান করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হল না। এই বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। আবেগে আপ্লুত হয়ে অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়া এটা নিয়ে পোস্ট করতেই বাকিটা ইতিহাস। নেট দুনিয়ায় তাঁকে ট্রোল করতে কেউ ছাড়ল না।
অঙ্কুশ তাঁর ইনস্টাগ্রামের পোস্টে লেখেন, 'পুরস্কার অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই গ্রহণ করলাম । প্রচুর পরিশ্রম বাকি নিজেকে এই পুরস্কারের যোগ্য করে তোলার জন্যে। আপাতত আমার মত একজন সামান্য "নায়ক" কে সরকারের তরফ থেকে এই "মহানায়ক" সম্মান টি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। নজরের সামনে সাজিয়ে রেখে দেব যাতে রোজ চোখ পড়লেই নিজেকে বলি "ভাগ্যবান দয়া করে ভগবান বানিয়েছেন .. যোগ্যতা পরিশ্রম করে নিজে অর্জন কর।'মহানায়ক সম্মান পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অভিনেতা। তবে নেটিজেনদের মনে জেগেছে একটি প্রশ্ন। অঙ্কুশ কি সত্যি মহানায়ক সম্মান পাওয়ার যোগ্য?
অঙ্কুশের পোস্টের কমেন্ট বক্সে বারংবার এই প্রশ্নই উঠে এসেছে। অঙ্কুশের ভক্তরা তাঁর এই প্রাপ্তিতে খুশি। সেই সঙ্গে মহানায়ক সম্মান পাওয়ার জন্য অঙ্কুশ মোটেই পারফেক্ট চয়েজ নয়, সেই কথাও অকপটে স্বীকার করেছেন অনুগামীরা। তবে শুধু অঙ্কুশ নয়, মহানায়ক সম্মান পাওয়ার পর অত্যন্ত খারাপভাবে ট্রোল হয়েছেন শ্রাবন্তী, সায়ন্তিকারাও।
প্রসঙ্গত, গত বছর মহানায়ক সম্মান দেওয়া হয়েছিল নুসরত জাহান, সোহম চট্টোপাধ্যায়কে। সেটা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শোরগোল হয়। সেইসময় নুসরত-সোহমকে নিয়েও তীব্র সমালোচনা হয়। এ বছরও সেই একই জিনিস ঘটল। অঙ্কুশকে ট্রোল করতে গিয়ে অনেকেই মহানায়কের নামে এই পুরস্কারের বিষয়টা নিয়েও আপত্তি তুলেছেন। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিতে, 'এই মহানায়ক শব্দটার আগে একটা ভ্যালু ছিল। কিন্তু, এই অ্যাওয়ার্ড শো টা শুরু হওয়ার পর আর নেই। আপনি অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করছেন। ভালো অভিনয়ও করেন। তা বলে মাহনায়ক! আর কত কী যে দেখতে হবে জানি না'। এক নেট নাগরিক দেব প্রসঙ্গে টেনে বলেন, আগের বার দেবকে মহানায়ক বানানো হল, এবার অঙ্কুশকে!