বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই বছরও জেলার জয়জয়কার। মেধা তালিকায় জায়গা করে নেওয়া পড়ুয়ারা যখন নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন, তখন পুরনো সেই দিনের কথা মনে করে স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন অনুরাগের ছোঁয়া খ্যাত সূর্য তথা দিব্যজ্যোতি দত্ত। এক সংবাদমাধ্যমকে জানালেন তাঁর মাধ্যমিকের রেজাল্টের কথা। কেমন হয়েছিল জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার ফল?
টেলিপাড়ার হার্টথ্রব বলা চলে দিব্যজ্যোতিকে। প্রায় প্রতিদিনই কারোর না কারোর সঙ্গে তাঁকে নিয়ে প্রেমচর্চা তুঙ্গে থাকে। ২৫ বছর পর করার আগেই দিব্যর ঝুলিতে চার-চারটে হিট মেগা। ছোটপর্দার সূর্য রিলে ডাক্তার হলেও বাস্তবে তিনি মোটামুটি মানের পড়ুয়া ছিলেন। এক সংবাদমাধ্যমকে নিজের মাধ্যমিকের ফল সম্পর্কে বলতে গিয়ে দিব্য জানান, তিনি মাধ্যমিকে ফাস্ট ডিভিশন পাননি, সেকেন্ড ডিভিশনে পাস করেছিলেন। তবে দিব্যজ্যোতি জানান যে তাঁর পার্সেন্টেজটা সত্যিই মনে নেই। দিব্য এও বলেন যে তিনি অঙ্কে একদমই কাঁচা ছিলেন। আর্টসে ভাল নম্বর এসেছিল। বায়োলজিতে ঠিকঠাক নম্বর পান বলেই জানান তিনি। মাধ্যমিকে মোটামুটি ফলই করেছিলেন তিনি।
তবে উচ্চমাধ্যমিকে দিব্য ভাল ফল করেন। কলা বা আর্ট নিয়ে পড়ছিলেন একাদশ-দ্বাদশে। উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করেন অভিনেতা। গোটা স্কুলের মধ্যে থার্ড হয়েছিলেন ক্লাস টুয়েলভের টেস্ট পরীক্ষায়। ফাস্ট ডিভিশনে পাসও করেন তিনি। দিব্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইতিহাস নিয়ে কলেজে ভর্তি হলেও গ্র্যাজুয়েট হতে পারেননি। জয়ী সিরিয়ালে সুযোগ আসায় মাঝপথেই পড়া ছাড়েন দিব্য। না, স্নাতকের ডিগ্রিটা আর নেওয়া হয়নি। শ্যুটিং আর পড়াশোনা একসঙ্গে চালাতে পারবেন না বলেই আর সম্পূর্ণ করেননি পড়াশোন। তবে দিব্য তাঁর ফিটনেস নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। এই মুহূর্তে অভিনেতা নিউট্রিশন নিয়ে ডিপ্লোমা করছেন।
শুধু অভিনয়কে পেশা নয়, পুষ্টিবিদ হিসাবেও তিনি সম্মান পেতে চান। আর সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন অভিনেতা। এই মুহূর্তে অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালে দিব্যজ্যোতিকে দেখা যাচ্ছে না। যার ফলে দর্শকেরা বেশ উদগ্রীব। কবে ফিরবেন ডাঃ সূর্য? দিব্যজ্যোতি জানিয়েছেন, এটা তাঁর হাতে একেবারেই নেই। গল্প যেভাবে এগোবে সেইভাবেই দর্শকেরা দেখতে পাবে। এখন বর্তমানে গল্পের যে মোড় রয়েছে, সেখানে ডাঃ সূর্য নেই। তবে হয়তো খুব শীঘ্রই ফিরবেন তিনি।