রুক্মিণীর এখন আনন্দের দিন। সামনেই মুক্তি পাবে জিৎ-এর সঙ্গে তাঁর ছবি বুমেরাং। আর এই ছবি মুক্তির প্রচার ইতিমধ্যেই চলছে জোর কদমে। ছবি ও চরিত্রের স্বার্থে রুক্মিণীকে হতে হয়েছে ন্যাড়াও। টলিপাড়ায় এই নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। যদিও পুরোটাই মেকআপের কারসাজি। কিন্তু তাঁর এই লুকসটা এত ট্রেন্ড করবে, রুক্মিণী হয়ত নিজেও কোনওদিন ভাবেননি। অভিনেত্রীর এই লুকসকে ফলো করে নিজেও মেকআপের সাহায্যে ন্যাড়া অবতারে ছবি দিলেন এক মেকআপ আর্টিস্ট। যেটা শেয়ার করে আবেগে ভাসলেন রুক্মিণী।
রুক্মিণী যে ছবিগুলো শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেখানে সীমা বারিক নামে ওই মেকআপ আর্টিস্ট রুক্মিণীর ন্যাড়া ছবির সঙ্গে নিজের ছবি কোলাজ করে দেন। সঙ্গে নিজেরও বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন। রুক্মিণী মৈত্র তাঁর পোস্টে লেখেন, প্রতিটা নায়িকা চায়, তার সবচেয়ে সুন্দর লাস্যময় গ্ল্যামার্স লুকটা চর্চায় থাকুক, সকলে সেরকম হওয়ার চেষ্টা করুক। আর এই গ্ল্যামারাস লুকের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে থাকে তার লম্বা খোলা ঘন চুল। কিন্তু সিনেমার স্বার্থে, চরিত্রের প্রয়োজনে, যখন সেই মেঘ কালো চুলকে বিসর্জন দিতে হয়। তার জন্য লাগে আত্মবিশ্বাস, সেই চরিত্রের প্রতি বিশ্বাস। আর সেই কেশবিহীন লুক যখন ট্রেন্ড করে, তখন সেই অভিনেত্রী হয় তো তার যথার্থ পুরস্কার পান। আর এটাই হয় সিনেমার ম্যাজিক। এভাবেই সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলে যায়, সৌন্দর্য হয়ে ওঠে কখনো আত্মবিশ্বাস, কখনো বা কাজের প্রতি একনিষ্ঠ সততা। এরপরই রুক্মিণী সীমার তাঁর মতো এই লুকসের প্রশংসা করেছেন।
মেকআপ আর্টিস্ট সীমা বারিক পেশায় একজন মেকআপ আর্টিস্ট। তিনি মেকআপের সাহায্যে রুক্মিণীর এই লুকসটা রিক্রেয়েট করেন। এরপর এটাই শেয়ার করেন রুক্মিণী। প্রসঙ্গত, রুক্মিণীর এই ন্যাড়া মাথার লুকস সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রুক্মিণীকে ট্রোলের মুখেও পড়তে হয়। কিন্তু অভিনেত্রী তাঁর সব চরিত্রকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। আসলে এই প্রথমবার রুক্মিণীর কোনও লুকস নিয়ে এতচর্চা হল।
রুক্মিণী এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তাঁর এই লুকসে মেকআপ করতে ২ ঘণ্টা সময় লাগত। তার পর ন্যাড়া লুকের জন্য প্রস্থেটিক তৈরিতে আরও ৩ ঘণ্টা। এই ছবিতে রুক্মিণীর বিপরীতে অভিনয় করছেন জিৎ। রুক্মিণীর মতে, সাধারণত পর্দায় মহিলাদের ন্যাড়া দেখানো হলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নেপথ্যে নারীর বৈধব্য বা তাঁর কোনও রোগের কারণকে তুলে ধরা হত। অভিনেত্রী বললেন, কিন্তু হলিউডে তো এ রকম লুকে অনেক অভিনেত্রীকেই দেখা গিয়েছে। আসলে ন্যাড়া হয়েও যে গ্ল্যামারাস হওয়া সম্ভব, আমার মনে হয়, লুকটা সে কথাই প্রমাণ করে। ৭ জুন মুক্তি পাচ্ছে জিৎ-রুক্মিণীর বুমেরাং।