বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রীলেখা মিত্র ঠোঁটকাটা বলেই পরিচিত। একসময় চুটিয়ে অভিনয় করলেও শ্রীলেখাকে এখন খুব কমই দেখা যায় বড়পর্দায়। কিছুদিন আগেই মার্চ মাসে নেগেটিভ ছবিতে আইটেম নম্বরে তাঁর প্রথম নাচ নিয়ে বেশ হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছিল টলিপাড়ায়। মাঝে মাঝেই শ্রীলেখাকে দেখা যায় সাহসী অবতারে। তবে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও নিজেকে সবসময় ফিট রাখতেই ভালোবাসেন অভিনেত্রী। আর সেইরকমই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলেখা পোস্ট করতেই তা ভাইরাল নিমেষে।
শ্রীলেখা তাঁর জিম করার ভিডিও রবিবার পোস্ট করেন। যেখানে তাঁকে জিমের পোশাকে দেখা গিয়েছে। মন দিয়ে শরীরচর্চা করছেন তিনি। তবে নজর কেড়েছে শ্রীলেখার ঘাড়ের কাছে ও হাতের ট্যাটুতে। শ্রীলেখার ঘাড়ের কাছের ট্যাটুটিতে লেখা শ্রী এবং ওঁ একসঙ্গে আর হাতের ট্যাটুটি সূর্যের নকশা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও শ্রীলেখার ট্যাটু সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলেছিল। শ্রীলেখা বরাবরই তাঁর ফিটনেস নিয়ে সচেতন। মাঝে মাঝেই তিনি তাঁর জিম করার ভিডিও শেয়ার করে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
সম্প্রতি এক উটকো ঝামেলায় ফেঁসেছেন শ্রীলেখা। তাঁর ফোন নম্বর ছড়িয়ে পড়েছে কোনওভাবে। একের পর এক উড়ো ফোন আসছে সারা দিন ধরে। দিনে প্রায় ১০ থেকে ১৫টা উড়ো ফোন আসছে অভিনেত্রীর কাছে। কাউকেই চেনেন না তিনি। এই নিয়ে শ্রীলেখা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। শ্রীলেখা তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আমার নাম ব্যবহার করে ফোন নম্বর ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর এই পুরো বিষয়টাই ঘটিয়ে টেলিগ্রামে। যার ফলে নিত্যদিন অন্তত দশটা পনেরোটা করে ভুয়ো ফোন আসছে। আর সকলেই দাবি করছে যে, তাদের নাকি আমার সঙ্গে কথা হয়েছে টেলিগ্রামে। কার পাকা ধানে মই দিলাম, ভাবছি।
তবে এই পোস্টের শেষে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি মন্তব্য করেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রী তাঁর নিজের বিরক্তিকর পরিস্থিতির কথা জানিয়ে শেষে প্রশ্ন রাখেন যে তিনি এখনও কার এমন ভয়ের কারণ। আর তিনি যেই হোন না কেন, শ্রীলেখাকে এত ভয় পান কেন তিনি ? প্রশ্ন রেখেছেন অভিনেত্রী। কীভাবে এই মোবাইল নম্বর ছড়িয়ে পড়ল তা জানা যায়নি এখনও। শ্রীলেখাকে শেষ দেখা গিয়েছে তথাগতর পারিয়া ছবিতে।