রোজ সন্ধ্যাবেলা হলেই টিভির সামনে বসে পড়েন বাঙালি দর্শকেরা। কারণ তাঁদের প্রিয় সিরিয়াল। আর এই সিরিয়ালের মাধ্যমেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা হয়ে ওঠেন ঘরের সদস্য। সিনেমার চেয়েও সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকা, ভিলেনদের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অনুরাগের ছোঁয়া, নিম ফুলের মধু, তুঁতে, ফুলকি, জগদ্ধাত্রী সহ একাধিক সিরিয়াল দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা নিয়ে রেখেছে। টিআরপি তালিকায় এইসব সিরিয়ালের রেটিং যেমনই হোক না কেন দর্শকদের কাছে তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কম হয়নি। তবে কি জানেন সাধারণ দর্শকের মতোই সিরিয়াল দেখতে ভালোবাসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানেন কি তাঁর প্রিয় সিরিয়ালের তালিকায় রয়েছে কোন কোন সিরিয়াল।
প্রতিবারের ন্যায় এবারেও অনুষ্ঠিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (Tele Academy Awards 2023)। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি কোন কোন সিরিয়াল দেখতে ভালোবাসেন। এই অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের শিল্পীদের এত গুণ, যে আমার বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি আমাদের শিল্পীরা মুম্বইয়ের মতো বড় ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নেবে। তারা আমাদের সত্যিই গর্বের।’ এরপরেই গড়গড় করে ধারাবাহিকের (Bengali Serial) নাম বলতে শুরু করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা মিডিয়াম থেকে ইষ্টি কুটুম সবই দেখি। অনুরাগের ছোঁয়ায় ওই ছোট্ট দুটি মেয়ে কী সুন্দর কথা বলে। জগদ্ধাত্রী, নিমফুলের মধু, রামপ্রসাদ সবই দেখার মতো।’
শুধু তাই নয় সিরিয়ালের পরবর্তী পর্বতে কী হতে পারে তাও নাকি আগে থেকে বুঝে যান তিনি। মমতা বলেন, ‘একদিন না দেখতে পেলে ভাবতে থাকি পরের দিন কী দেখাবে।’ এর থেকে বোঝাই যায় যে রাজ্যের দায়িত্ব সামলেও মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি সিরিয়ালের পর্বই মন দিয়ে দেখেন। প্রসঙ্গত, এ বছরের টেলি অ্যাকাডেমি সম্মান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছোটপর্দার সব তারকারা। চাঁদের হাট বসেছিল সেখানে। মিখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সম্মান পেয়ে আপ্লুত ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকারা। প্রতি বছরের মতো এবারেও টেলি তারকাদের ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বরাবরই সিরিয়াল দেখতে পছন্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী। টেলিপাড়ার তারকাদের সঙ্গেও বেশ বন্ধুত্ব তাঁর। আর সেই ভালোবাসা থেকেই বেরিয়ে আসে সুর। অনেকেরই অজানা, 'গুড্ডি' ও 'জগদ্ধাত্রী' ধারাবাহিকের গান লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর এই শিল্পীসত্ত্বাকে স্বীকৃতি দিতে এদিন সেরা গীতিকার ও সুরকার হিসেবে মমতার নাম ঘোষণা হয়। তবে পুরস্কার নিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। মজার ছলে বিষয়টি এড়িয়ে, মঞ্চ থেকে নেমে যান তিনি।