লোকসভা নির্বাচনে ভোট গণনা জোর কদমে চলছে। এই বছর নির্বাচনে তারকা প্রার্থীদের রমরমা বাজার ছিল। একাধিক শোবিজ তারকাদের ভোটের ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছে। সেরকমই লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে গ্যাংস্টার অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তিনি মান্ডি থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত গণনা অনুসারে, মান্ডি থেকে কঙ্গনা ৩০২৫৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ মান্ডি আসন থেকে এবার বিজেপির তারকা প্রার্থী কঙ্গনা রানাউত জিততে পারেন কি না, সে বিষয়ে তাকিয়ে প্রায় গোটা দেশ।
নির্বাচনের প্রচার চালাকালীনই কঙ্গনা ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ভোটে জিতলে বলিউড ছেড়ে দেবেন। তিনি আজতকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছিলেন যে তিনি একটাই কাজ করতে চান। অভিনেত্রী বলেন, আমি সিনেমার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছি, একাধিক চরিত্র করেছি এবং পরিচালনার কাজও করেছি। কিন্তু যদি রাজনীতিতে সম্ভাবনা দেখি, জনগণ যদি আমার সঙ্গ দেয়, তবেই আমি রাজনীতি করব। তবে আমি এখন একটা জিনিসই করতে চাই। মান্ডি থেকে জিতলে তবেই রাজনীতি করব।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে গ্যাংস্টার সিনেমার মাধ্যমে কঙ্গনা ডেবিউ করেন বলিউডে। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট ছবি যেমন দিয়েছেন তেমনি তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ১৮ বছরের তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে তিনি ৪২টি ছবি করেছেন। এখান থেকে তিনি কোটি টাকা আয় করেছেন। তিনি তাঁর হলফনামায় ৯০ কোটির সম্পত্তি তাঁর রয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন। বরাবরই কেন্দ্র সরকারের গুণগান করে এসেছেন অভিনেত্রী। একাধিক বিষয়ে বিতর্কে ফেঁসেছেন কঙ্গনা। অযোধ্যায় রাম লালার মূর্তি উন্মোচনের দিনও উপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা।
অভিনয়ের পাশাপাশি কঙ্গনা রানাউতের রয়েছে প্রযোজনা সংস্থাও। যার নাম মনিকর্ণিকা। এই ব্যানারে তিনি এমার্জেন্সি ছবিটি তৈরি করেন। যেখানে কঙ্গনাকে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। এই প্রযোজনা সংস্থার আওতায় মুক্তি পেয়েছিল টিকু ওয়েডস শেরু।