কোভিডে আক্রান্ত ব্রিটিশ তরুণী অভিনেত্রী বনিতা সান্ধু (Banita Sandhu)। ব্রিটেনে জন্ম ও লন্ডনে পড়াশোনা হলেও আদতে তিনি শিখ বংশোদ্ভূত। ভারতের সঙ্গে একটা সংযোগ রয়েছে তাঁর। কেরিয়ার সূত্রেও এখন প্রায়ই আনাগোনা হয় এদেশে। এই বারের কলকাতা সফরে একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হল তাঁর। তবে তার সঙ্গে তৈরি হয়েছিল এক নাটকীয় পরিস্থিতির। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
২০১৮ সালে সুজিত সরকারের (Soojit Sircar) ছবি 'অক্টোবর' (October) -এ মুখ্য চরিত্র দিয়ে বড় পর্দায় পা রেখেছিলেন বনিতা। দর্শকদের মনে একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি। অন্যদিকে স্যুইস-ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক কমল মুসালের 'কবিতা অ্যান্ড টেরিজা' ছবির শুটিংয়ে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেত্রী। কলকাতায় ঘুরে শ্যুটিং করার জন্যে উৎসাহিত ছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর সম্ভব হল না। আক্রান্ত হলেন কোভিড ১৯-এ।
আরও পড়ুন: FIR দায়ের আরবাজ ও সোহেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কোভিড নিয়ম না মানার
ব্রিটেন থেকে আসার পরই তাঁকে রাজারহাটের সিএনসিআই-তে রাখা হয়েছিল এবং সেখান থেকে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে পাঠানো হয় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসায় অভিনেত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তবে সেই হাসপাতালে তৈরি হয় এক অপ্রীতিকর ও নাটকীয় পরিস্থিতির।
প্রশাসনিক সূত্র অনুযায়ী, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এ গিয়েও সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামতে চাননি বনিতা। আইডি -র পরিবেশ পছন্দ হয়নি তাঁর। প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে চলেছে নাটক। নতুন ছবির পরিচালক কমল, হাসপাতালের কোন ওয়ার্ডে অভিনেত্রীকে রাখা হবে তা দেখতে চান। কিন্তু কোভিড হাসপাতালে এইভাবে বাইরের কারোকে ঢুকতে দেওয়া নিয়ম বহির্ভূত। এই নিয়ে তৈরি হয় সমস্যার। এমনকি তাঁর কোভিড পজিটিভ রিপোর্টকেও কার্যত চ্যালেঞ্জ করেন তাঁরা। হাসপাতালে তরফ থেকে বারংবার বোঝানোর পরেও তাঁরা সেকথা মানতে নারাজ ছিলেন। এক সময়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও সহকারীকে নামানো হয় ও পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।ফের আইডি হাসপাতালের তরফ থেকে কাগজপত্র ও রিপোর্ট তৈরি করা হয় এবং মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়।
অন্যদিকে বনিতার প্রথম ছবির পরিচালক সুজিত সরকারও বর্তমানে রয়েছেন কলকাতায়। তাঁর সঙ্গে দেখাও হয়েছে পরিচালকের। সুজিত, একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, কলকাতায় আসার সময়ই বনিতার কোভিড ধরা পড়ে কিন্তু তাঁর কোনও উপসর্গ ছিল না।