গত একবছর ধরে ট্রোল-কটাক্ষ-চর্চাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গত ১৫ জুলাই আইনি বিয়ে সেরে নিলেন শোভন গঙ্গোপাধ্যায় ও সোহিনী সরকার। কলকাতা থেকে দূরে এক ফার্ম হাউসে পরিবার ও কাছের মানুষদের নিয়ে ছিমছামভাবে বিয়ে করলেন সোহিনী-শোভন। বিয়ে ও বউভাতের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। দাদা শোভনের সঙ্গে তো মনের মিল হয়েই গিয়েছে, ননদ দীপ্সিতার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক বৌদি সোহিনীর?
দাদা শোভনের চেয়ে জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়। গায়কের আদরের বোন দীপ্সিতা সিপিআইএম যুবনেত্রী। এই বছর লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থীও হয়েছিলেন। দীপ্সিতা ধর এখন পরিচিত এক মুখ। শোভনের মাসির মেয়ে দীপ্সিতা, দুজনেই একই সঙ্গে বড় হয়েছেন। দীপ্সিতা এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তাঁর দাদা ও সোহিনীদির বেড়ে ওঠা অনেকটা একই রকম।
দীপ্সিতার কথায়, শোভন-সোহিনী বা দীপ্সিতা তাঁরা কেউই তারকা পরিবারের অংশ নন। নিজেদের পরিশ্রমে পরিচিতি তৈরি করেছেন যে কারণে তাঁদের মূল্যবোধগুলো একই। তাই দীপ্সিতাদের পরিবারের সঙ্গে সোহিনী খুব সহজেই মিশে গিয়েছেন। নাচ-গান, আড্ডা, হই-হুল্লোড় করেই কাটছে সময়। সম্প্রতি দীপ্সিতা বৌদি সোহিনীর সঙ্গে আদুরে ছবিও পোস্ট করেছেন। যেখানে রয়েছেন দীপ্সিতার আরও এক বোন। সোহিনী দুই ননদকে নিয়ে ছবি তুলেছেন। দীপ্সিতা এই ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, 'একসাথে ভালো থাকার পথ চলা।' আর সেই ছবিটি তুলে দিয়েছেন দাদা শোভন।
এই ছবিতে অভিনেত্রীর পরনে চুড়িদার, সিঁথি ভর্তি সিঁদুর, নাকে নোলক, কানে ফুল গোঁজা লুকে দেখা যাচ্ছে। বিয়ের পর একেবারে ঘরোয়া লুকসেই ধরা দিয়েছিলেন সোহিনী। বিয়ের পর প্রথমবার শোভনের বাড়িতে সোহিনীকে দেখা গিয়েছিল সাধারণ একটি শাড়ি, ঘোমটা দিয়েছেন, সিঁথিতে সিঁদুর ও হাতে শাঁখা-পলা। দীপ্সিতা এই ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, পরিবারে স্বাগত। বউদির সঙ্গে যে দীপ্সিতার সম্পর্ক দারুণ এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্প্রতি সোহিনী-শোভনের গায়ে হলুদের ছবিও এসেছে প্রকাশ্যে।
বৃষ্টির মধ্যেই তাঁদের গায়ে হলুদ হয়েছে। সোহিনী বিয়ের সকালে পরেছিলেন লাল-সাদা পাড়ের শাড়ি আর গলায় গাঁদার মালা। অপরদিকে শোভন পরেছিলেন লাল রঙের পাঞ্জাবী। প্রসঙ্গত, বিয়ের আগের দিন বাওয়ালি ফার্ম হাউসে জমিয়ে পুলপার্টি করেন শোভন-সোহিনী। সেখানেও দেখা মিলেছে দীপ্সিতার। দাদানের বিয়ের কোনও মূহূর্ত থেকেই দূরে থাকেননি তিনি।