সাধারণ মানুষ তাঁর বাড়িতে যেতে রীতিমতো ভয় পাবেন। পরিবারের সদস্য সংখ্যার চেয়ে তাঁর বাড়িতে সাপের সংখ্যা বেশি। কথা হচ্ছে টলিউডের ব্য়স্ততম পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে। রবিবার ছিল পিতৃদিবস। আর এইদিন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বাবাদের নিয়ে নানান ধরনের আবেগেভরা পোস্টের ছড়াছড়ি ছিল। আর ব্যতিক্রম নন সৃজিতও। সৃজিত তাঁর মেয়ে ও সাপ-সন্তানদের নিয়েই পিতৃদিবসে পোস্ট করলেন ছবি।
সৃজিতের এই ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁর কাছে রয়েছে নানান ধরনের সাপ। আর তাদের নিয়েই ছবি পোস্ট করেন সৃজিত। পরিচালকের গলায় ঝুলছে একটা সাপ, সৃজিতের কন্যার বন্ধুর হাতে ধরা আরও দুটি সাপ। তবে দেখা মেলেনি উলুপির। সৃজিত এই সাদা-হলদে রঙের উলুপি কুমারীকে নিজের কন্যার জায়গায় বসিয়েছেন। আর পিতৃদিবসে উলুপির দেখা না পেয়ে অনেকেই সৃজিতকে জিজ্ঞাসা করেছেন কোথায় উলুপি।
নেটিজেনদের প্রশ্নের উত্তরে সৃজিত বলেন যে ও এখন ঘুমোচ্ছে। উলুপি রবিবার অনেক পরিশ্রম করেছে। থেমে থেমে দুটি ইঁদুর খেয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছে সৃজিতের আদরের মেয়ে উলুপি। তাই বিশ্রাম নিচ্ছে। আর সেই কারণে ছবিতে উলুপির দেখা নেই। উলুপিকে প্রথম এনেছিলেন সৃজিত। তাঁর অনেকদিন ধরেই পাইথন পোষার শখ ছিল। সেই শখ তিনি পূরণ করেন উলুপিকে নিয়ে এসে।
উলুপিকে আনার পর একে একে আরও তিনটি পাইথনকে বাড়ি নিয়ে আসেন সৃজিত। পরিবারে তিনি, স্ত্রী মিথিলা ও তাঁদের মেয়ে ছাড়াও চার-চারটে অজগর সাপ ঘুরে বেড়ায় বাড়িময়। চার পাইথনকে সন্তানের মতো ভালবাসেন পরিচালক। সারা বাড়িতেই কিলবিল করতে থাকে সাপগুলো। তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সৃজিত ও তাঁর স্ত্রী মিথিলার কন্যাও। মাঝে মাঝেই এই সাপদের নিয়ে শ্যুটিং ফ্লোর অথবা ছবির লোকেশন রেইকি করতেও যান পরিচালক। গলায় পেঁচিয়ে নিয়ে এদিক-সেদিক চলে যান সৃজিত।
নারীদিবসের দিনই উলুপির সঙ্গে সকলের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সৃজিত। একপ্রকার শখ করেই তিনি উলুপিকে এনেছিলেন। সমস্ত নিয়ম মেনেই উলুপিকে আনেন সৃজিত। আসলে সৃজিত ছোট থেকেই সাপ নিয়ে খেলা করতেন তাই এইসবে খুব একটা ভয় পান না। আর সাপ তো শান্ত প্রাণী। তাই এক কথায় বলা চলে, স্ত্রী-কন্যা ও সাপ-সন্তানদের নিয়ে সৃজিতের ভরা সংসার।