একসময় স্বস্তিকা ও সৃজিতের প্রেম ছিল টক অফ দ্য টাউন। এখন সেই সম্পর্ক অতীত। বর্তমানে এই দুই টলি তারকার বন্ধুত্ব নিয়ে ফের আরও একবার চর্চা শুরু হয়েছে টলি পাড়ায়। জাতিশ্বর সিনেমার পরই স্বস্তিকা ও সৃজিতের সম্পর্কে চিড় ধরে। যদিও সেইসব ঘটনা এখন পুরনো। এখন স্বস্তিকার সঙ্গে সৃজিতের মাখো মাখো সম্পর্ক নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।
এই সবের মধ্যেই মঙ্গলবার স্বস্তিকার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন পরিচালক। ক্যাপশনে লেখেন, ‘হঠাৎ রাস্তায়, আপিস অঞ্চলে’। হ্যাশট্যাগ নিঁখোজ ও দশম অবতার। ছবিতে সৃজিতকে দেখা গিয়েছে ওপরের দিকে তাকিয়ে থাকতে আর পাশে থাকা স্বস্তিকার প্রাণখোলা হাসি। এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচুর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেই পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত ও সৃজিতের ছবি দেখে স্বস্তিকা তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে আবদার করে বসেন। আসলে সেই সময় সৃজিত পরেছিলেন আবোল তাবোলের প্রিন্ট করা একটি কুর্তা। যেটা দেখে স্বস্তিকা কমেন্টে লেখেন, তাঁরও এই ধরনের কুর্তা চাই। তারপরই ফের একসঙ্গে ছবি পোস্ট করায় তাঁদের সম্পর্ক ফের জোড়া লাগল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ঘনীভূত হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই, পরিচালক সৃজিত ও তাঁর স্ত্রূ রাফিয়াদ রশিদ মিথিলার বিচ্ছেদ নিয়ে জোরদার গুজব শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন স্বস্তিকার কাছ ফিরে আসার জন্যই মিথিলার সঙ্গে বিচ্ছেদ নেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিচালকের। অন্যদিকে এখনও একাকী রয়েছেন স্বস্তিকা। যদিও তাঁরা দুজনেই এসব গুঞ্জনকে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। সৃজিত ও স্বস্তিকা নিছক বন্ধু ছাড়া আর কিছুই নয় বলেই বার বার দাবি করে এসেছেন।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে একসময় সরগরম ছিল টলিউড। স্বস্তিকার টানে শান্তিনিকেতনেও চলে গিয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু জাতিশ্বর ছবির পর তাঁদের দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। তবে এর কিছু বছর পরে সেই বিচ্ছেদ ভুলে ফের তাঁরা এক হন। সৃজিতের শাহজাহান রিজেন্সি ছবিতে মৃণালিনীর চরিত্রে নজর কাড়েন স্বস্তিকা। এর পর থেকেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক।