টলিপাড়ায় দীপঙ্কর দে ও দোলন রায়ের সুখী দাম্পত্যের কথা বেশ চর্চিত। তাঁদের এই বয়সেও মাখো মাখো প্রেম রীতিমতো চমকে দেবে সকলকে। অভিনেত্রী দোলন রায় ও তাঁর স্বামী দীপঙ্কর দে কিন্তু অসমবয়সী দম্পতি। কিন্তু কখনই বয়স তাঁদের ভালোবাসার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তাঁদের মধ্যেকার এই অটুট বন্ধন বর্তমানে নতুন প্রজন্মের দম্পতিদের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। দীপঙ্করের চেয়ে তাঁর স্ত্রী দোলন যে অনেকটাই ছোট, এটা তো সকলেই জানেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে ঠিক কতটা বয়সের ফারাক সেটা জানে আছে কি?
কথায় আছে, বয়স কোনও সময়ই ভালোবাসার মধ্যে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। বরং তা হয়ে উঠেছে দীপঙ্কর-দোলনের ভালোবাসার দোসর। এই বয়সের পার্থক্যই একে-অপরের প্রতি সম্মান, স্নেহ কায়েম করে রেখেছে সম্পর্কের শুরু থেকে। মা-বাবার পর দোলনের সবচেয়ে কাছের অভিভাবক হলেন দীপঙ্কর। স্ত্রীকে প্রতি পদক্ষেপে গাইড করে যান অভিনেতা।
অপরদিকে প্রায় বাবার বয়সী ও মায়ের চেয়ে ৪-৫ বছরের ছোট দীপঙ্করকে আগাগোড়াই সম্মান করে এসেছেন দোলন। অপরদিকে, দোলন অনেকটাউ ছোট হওয়ায় স্বামীর থেকে স্নেহ পান প্রচুর। এটা জেনে অবাক হবেন যে দীপঙ্করের প্রথম পক্ষের ছোট কন্যা এবং দোলনের সঙ্গে তাঁর বয়সের তফাৎ মাত্র এক বছরের। দোলন ও দীপঙ্করের লাভস্টোরি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে অমিতাভ বচ্চন ও টাবু অভিনীত চিনি কম সিনেমার কথা।
দোলন দীপঙ্করের চেয়ে ২৬ বছরের ছোট। নিজেদের মধ্যে এই নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও প্রথমদিকে দোলনের বাড়ি থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল এই সম্পর্ক নিয়ে। বয়সে এত বড় একজনকে বিয়ে করতে চাইছে মেয়ে, তা একেবারেই মেনে নিতে চাননি দোলনের মা-বাবা। তবে দীপঙ্করের কারণেই তাঁকে জামাই হিসাবে মেনে নেন দোলনের পরিবার। জামাই হিসাবে দীপঙ্করও দোলনের মা-বাবার প্রি সব কর্তব্য করে চলেছেন। দোলনকে স্ত্রী হিসাবে পেয়ে দীপঙ্কর দে এখন মানসিকভাবে শান্তিতে রয়েছেন। স্বামীর দেখভাল খুব ভাল ভাবেই করেন দোলন। সম্প্রতি দীপঙ্কর দে-এর বড় মেয়ে গত বছরের অগাস্টে মারা যান। সেই সময়ও কন্যাহারা বাবাকে সামলেছেন দোলন।