টেলিভিশন তথা টলিউডে ভীষণ পরিচিত এক নাম ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিনয় দর্শকদের কাছে প্রশংসিত। তবে পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ভাস্বরের ব্যক্তিগত জীবন রীতিমতো চর্চিত। ৫০ বছর জীবনে এসে ভাস্বর দুটি বিয়ে করলেও দুটোই অসফল। একটা সংসারও টেকেনি ভাস্বরের। তার ওপর ভাস্বরের প্রথম স্ত্রী তাঁকে গার্হস্থ হিংসা মামলার অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু ভাস্বরের প্রথম স্ত্রী কে, নামই বা কী আসুন জেনে নিই।
এক সংবাদমাধ্যমকে ভাস্বর জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম প্লাবনী মুখোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি সবেমাত্র অভিনয় জগতে প্রবেশ করেছেন। ভাস্বরের পরিবারই অভিনেতার বিয়ে ঠিক করেন সম্বন্ধ করে। ভাস্বরের অভিযোগ অনুযায়ী, প্লাবনী চাকরি করতেন না। কিন্তু ভাস্বরের সঙ্গে সংসারও করতে চাননি। প্লাবনীর পরিবার জোর করে অভিনেতার সঙ্গে বিয়ে দেন। ভাস্বর এও জানান যে প্লাবনীর অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। সেটা তাঁর পরিবার মেনে নেয়নি। তাই ভাস্বরের সঙ্গে বিয়ে দেন প্লাবনীর।
ভাস্বর মাত্র দুমাস সংসার করেছিলেন। আর তার মধ্যেই তাঁর ওপর অভিযোগ ওঠে যে তিনি তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। অভিনেতার কথা অনুযায়ী, তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে একজনের সম্পর্ক ছিল আর সে তার সঙ্গেই থাকতে চাইছিল। আর এই অভিযোগ না আনলে প্লাবনী নিস্তার পেত না বিয়েটা থেকে। ভস্বরের দাবি, তাঁকে মিথ্যেভাবে ৪৯৮এ মামলায় জড়ানো হয়। যার জন্য তাঁকে দুদিন জেলও খাটতে হয়েছিল। বেশ কিছু বছর ভাস্বর সেই সব কিছু সহ্য করেছেন মুখ বুজে। কিন্তু তিনি যে নিরপরাধ, সেটাও প্রমাণ করতে পেরেছিলেন। ভাস্করের জীবনে সেই অধ্যায়টা ছিল খুবই বিশ্রী। এখনও অভিনেতাকে এটা নিয়ে কটুক্তি শুনতে হয়।
প্লাবনীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর ভাস্বর বিয়ে করেন উত্তমকুমারের নাতনি নবমিতার সঙ্গে। ঘটা করেই বিয়ে হয়েছিল নবমিতা ও ভাস্বরের। কিন্তু সেই সম্পর্কটাও টেকেনি। হানিমুনে ভাস্বর জানতে পারেন যে নবমিতার সম্পর্ক রয়েছে অন্য একজনের সঙ্গে। ভাস্বর সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে নবমিতাই নাকি ডিভোর্সের জন্য অভিনেতাকে জোর করেছিলেন। সেইজন্যই তাঁকে ডিভোর্স দেন ভাস্বর। তবে এখন ভাস্বর ও নবমিতার সম্পর্ক রীতিমতো বন্ধুত্বের। তবে নবমিতার প্রতি ভাস্বরের আর কোনও নালিশ নেই।