রবিবার সন্ধ্যা থিয়েটারের ৪ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করল হায়দরাবাদ সিটি পুলিশ। ওই দিন অল্লু অর্জুনের ছবি 'পুষ্পা ২'-এর প্রিমিয়ার শো হয়েছিল। ঘটেছিল পদপৃষ্টের ঘটনা। প্রাণ হারান নায়কের এক মহিলা অনুরাগী। গুরুতর আহত তাঁর পুত্রসন্তান। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ অভিনেতাকে থিয়েটার থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে এসিপি রমেশ জানিয়েছেন,সন্ধ্যা থিয়েটারে অল্লু অর্জুন যখন সিনেমা দেখছিলেন, তখনই তাঁকে বাইরে পদপৃষ্টের ঘটনার ব্যাপারে অবগত করেছিল পুলিশ।
এসিপি রমেশ জানান,'অল্লু অর্জুনের ম্যানেজার সন্তোষ থিয়েটারের ভিতরে ছিলেন। তাঁর পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা প্রথম জানানো হয়। আমরা তাঁকেও বলেছিলাম যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এবং একটি ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু সন্তোষ এবং অন্য একজন আমাদের অভিনেতার সঙ্গে দেখাই করতে দেননি।'
শনিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি মন্তব্য করেছিলেন, 'পুলিশের অনুমতি না পেয়েও অল্লু অর্জুন সিনেমাহলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। পদপৃষ্ট হয়ে একজন মহিলার মৃত্যুর পরেও অভিনেতা সিনেমাহল ছেড়ে বেরিয়ে যাননি। পরে পুলিশ তাঁকে জোর করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। প্রচুর ভিড় থাকা সত্ত্বেও রোড শো করেছিলেন, অনুরাগীদের উদ্দেশে হাত নেড়েছিলেন অল্লু অর্জুন। গোটা বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী অভিনেতাই'।
মুখ্যমন্ত্রীর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন অল্লু অর্জুন। সাফাই দেন, 'এটি সত্যি নয়। পুলিশ আমার যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। পুলিশের নির্দেশ মেনেই ওই জায়গায় গিয়েছিলাম'। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি জনতার দিকে হাত নেড়ে রোড শো করার অভিযোগও অস্বীকার করেন।
মহিলার মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে অভিহিত করে অল্লু বলেছিলেন,'এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কাউকে দোষারোপ করছি না। অনুমতি না থাকলে ওরা (পুলিশ) আমাদের ফিরে যেতে বলত। আমি আইনে মেনে চলা নাগরিক। আমি পুলিশের কথা শুনতাম। এই ধরনের কোনও খবর (বিশৃঙ্খলা) আমাকে দেওয়া হয়নি। আর কোনও রোড শো করিনি'।