টলিউডে কট্টর বামপন্থীদের মধ্যে পরিচালক অনীক দত্ত ও অভিনেতা জিতু কমলের নাম না নিলেই নয়। তাঁদের প্রিয় কমরেড এখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে, সঙ্কট এখন কাটেনি ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আগামী তিনদিন কড়া ভেন্টিলেশন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে রাজ্যজুড়ে তাঁর আরোগ্য কামনা করে চলেছেন সকলে। আমজনতার পাশাপাশি বামমতার্দশে বিশ্বাসী দুই তারকা অনীক দত্ত ও জিতু কমলও বুদ্ধদেবের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
প্রসঙ্গত, জিতু কমল ছাত্রজীবনে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতেন বলে জানা গিয়েছে। চিরকাল বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী তিনি। এদিন অভিনেতা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে লেখেন, 'প্রিয় কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। আপনার পথ চেয়ে রইলাম।'
অপরদিকে পরিচালক অনীক দত্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি শেয়ার করে অনীক দত্ত লেখেন, 'ভালো থাকুন স্যার।' এই দুই বাম শিবিরের তারকাদের পাশাপাশি পরিচালক সুব্রত সেনও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সুস্থতা কামনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'সেরে উঠুন বুদ্ধ দা। তারপর সিগারেট কম খান, আমিও কমিয়ে দিয়েছি।'
এখানে উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে টলিপাড়ার এই দুই তারকাকেই বাম শিবিরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে দেখা গিয়েছিল। মাঝেমধ্যেই তৃণমূল, বিজেপিকে সরাসরি কটাক্ষ করেন অনীক দত্ত। জিতুর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। এবার বাংলার বামশিবিরের অন্যতম স্তম্ভেরল অসুস্থতায় মন খারাপ দুই তারকার। খবর নেওয়ার পাশাপাশি, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেছেন বামপন্থী দুই তারকা জিতু কামাল, অনীক দত্ত।
দীর্ঘদিন ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্ত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। ফুসফুসের এ অসুখে প্রধান উপসর্গ লাগাতার কাশি আর শ্বাসকষ্ট। বিগত ৫ দিন ধরেই নাকি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পরে শনিবার পারিবারিক চিকিৎসক, ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৌশিক চক্রবর্তী বুদ্ধবাবুকে পরীক্ষা করে জানান যে এক্ষুণি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শনিবার বিকেলের দিকে গ্রিন করিডর করে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। আপাতত তাঁর ঠিকানা উডল্যান্ডসের কেবিন নম্বর ৫১৬।