ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন জুনিয়র অভিনেতা তীর্থানন্দ।'দ্য কপিল শর্মা শো'তে কৌতুকাভিনেতা হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। ফেসবুকে লাইভে গিয়ে ফিনাইল খাচ্ছিলেন তীর্থানন্দ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বন্ধুরা নিকটস্থ থানায় ফোন করে জানান। পুলিশকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেতা তীর্থানন্দকে।
হাবিলদার মোরে aajtak.in-কে জানান,'কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পৌঁছে যাই মীরা রোডের শান্তি নগরের বি৫১ বিল্ডিংয়ের ৭০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে। আমরা দেখলাম যে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। একটি কুকুরও ঘরে রয়েছে। তীর্থানন্দ তখন অর্ধচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমরা তাঁকে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যাই।'
তাঁর আত্মহত্যার চেষ্টার জন্য এক মহিলাকে দায়ী করেছেন তীর্থানন্দ। তাঁর দাবি, 'কয়েক মাস আগে একজন মহিলার সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। ওই মহিলার দুই মেয়ে আছে। আমরা লিভ-ইন-এ থাকতাম। পরে জানতে পারি সে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করে। আমি সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিলাম। সেই সময় ওই মহিলা আমায় হুমকি দিতে থাকে। আমার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। মামলার ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। বাড়ি যেতে না পেরে ফুটপাতেও ঘুমোতে বাধ্য হয়েছি। হতাশার কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিই।'
তীর্থানন্দ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নানা পাটেকর হিসেবে খ্যাত। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মেও তাঁর অফিসিয়াল নাম জুনিয়র নানা পাটেকর। নানা পাটেকরের বডি ডাবল হিসেবেও বেশ কয়েকবার কাজ করেছেন। দ্য কপিল শর্মা শোতেও বহুবার উপস্থিত হয়েছেন তীর্থানন্দ। জানুয়ারি মাসে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে একটি ছবির শুটিং শেষ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে তিনি ওয়াঘলে কি দুনিয়াতে দুটি পর্বের জন্যও কাজ করেছিলেন। মার্চ মাস থেকে কাজ না করে বসে আছেন তীর্থানন্দ। মদ্যপানের নেশাও বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি বন্ধুবান্ধবদের।
এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তীর্থানন্দ। প্রতিবেশীরা তাঁর জীবন বাঁচিয়েছিলেন। দুই বছর আগেও ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তীর্থানন্দ বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জীবন রক্ষা পায়। সেই সময় করোনার কারণে কাজ না পেয়ে অনটনে ছিলেন। তাই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।