পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি অযোগ্য নিয়ে গতবছর থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। কারণ এই ছবিতে প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা তাঁদের ৫০তম জুটি উদযাপন করবেন। আর এই ছবি যে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালনা করবেন তা জানা কথাই ছিল। সোমবারই মুক্তি পেয়েছে এই ছবির প্রথম গান। শ্রেয়া ঘোষালের কন্ঠে এই গান ইতিমধ্যেই বেশ পছন্দ করেছেন অনুরাগীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই গান এখন বেশ চর্চায়। তবে সোমবার এই গান মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনদের একাংশ গানের কথার ভুল বানান নিয়ে সরব হয়েছেন। আর যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
অযোগ্য ছবির গান জানি তুই আমার হোবি না এই গানটায় হোবি শব্দের বানান ভুল বলে দাবি করেছেন নেটিজেনরা। এই বানান হওয়া উচিত ছিল হবি। এই নিয়ে অনেক নেটিজেনই গানের কথার বানান নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তবে এই গানের কথার বানান বিতর্ক যাতে বেশিদূর না গড়ায় তার আগেই মুখ খুললেন পরিচালক। সোশাল মিডিয়ায় স্পষ্ট করলেন, কেন গানের ‘হবি’ আসলে ‘হোবি’ হল। ফেসবুকে কোশিক জানিয়েছেন যে কেন গানের শব্দ হবি না হয়ে হোবি হয়েছে।
ফেসবুকে কৌশিক লেখেন, রণজয় চেয়েছিলো গানের নামটা “পর্নমোচী দিন” হোক, আমি জেদ ধরে নাম রাখলাম “ তুই আমার হোবি না”। রণজয় সহমত না হয়েও মেনে নিয়েছিলো আমার ভরসায়। ‘হবি না’-র বানান করা হোলো উচ্চরণ অনুযায়ী, আর hobby-র বাংলা বানান ‘হবি’ থেকে আলাদা করার জন্য। যেমন ভালবাসা বানান ভালোবাসাও হয়, তেমনি। না-পাওয়া ভালোবাসার এই গানের সহজ নাম তাই হোলো, “ তুই আমার হোবি না” ! শুনুন ও শোনান।” যদিও পরিচালকের এই ব্যাখাকে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের অযোগ্য ছবির প্রথম গানেই বোঝা গেল এই ছবির সম্পর্কের জটিল ধাঁধা নিয়ে। যেখানে শৈশবের বন্ধুত্ব-প্রেম সেইসব অতীত পেরিয়ে দাম্পত্যের অন্য সমীকরণ দেখা দিয়েছে। গানের ভিডিওর মাধ্যমেই সিনেমার চরিত্রদের নামও প্রকাশ্যে এল। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রসেন, ঋতুপর্ণা রয়েছেন পর্ণার চরিত্রে। আর শিলাজিৎকে দেখা যাবে পর্ণার স্বামী রক্তিমের ভূমিকায়।
নয়ের দশকের মাঝামাঝি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির সফর শুরু হয়। প্রথম ছবিই ছিল সুপারহিট। তার পর একে একে ‘মায়ার বাঁধন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘স্বামীর ঘর’, ‘মনের মানুষ’-এর মতো সিনেমার দর্শকদের উপহার দিয়েছেন দুজনে। তবে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ সিনেমার মুক্তির পর বহুদিন একসঙ্গে কাজ করেননি ঋতুপর্ণা আর প্রসেনজিৎ। কিন্তু দুজনের জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। তার প্রমাণ ছিল নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘প্রাক্তন’। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘প্রাক্তন’। এরপর আবার দীর্ঘ বিরতি। এই জুটিকে নিয়েই আবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় তৈরি করেছিলেন ‘দৃষ্টিকোণ’। আলাদা গল্প, আলাদা চরিত্র। কিন্তু প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ম্যাজিক ছিল অক্ষুন্ন। তাতে আবার বাড়তি পাওনা ছিল কৌশিকের পরিচালনা। আবারও এই জুটি ফিরছে কৌশিকের ছবিতে। ৭ জুন মুক্তি পাবে অযোগ্য।