টেলিভিশন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল ছিল মা ধারাবাহিক। আর এই সিরিয়ালের হাত ধরেই রাতারাতি পরিচিতি পান ঝিলিক তথা তিথি বসু। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রমরমিয়ে চলেছিল এই সিরিয়াল। গোটা সিরায়াল জুড়েই ঝিলিক খুঁজে গিয়েছিলেন তাঁর মাকে আর তাঁর ভাই বিল্টুর সঙ্গে তো তার দেখাই হয়নি। কিন্তু এতবছর পর এবার মনে হচ্ছে ঝিলিক তথা তিথি তাঁর পরিবারের কাউকে খুঁজে পেলেন অবশেষে।
হারিয়ে যাওয়া ভাইকে খুঁজে পেলেন তিথি
ঝিলিক যেমন বড় হয়েছেন তেমনি বড় হয়েছে তাঁর দাদা বিল্টুও। সম্প্রতি ঝিলিক খুঁজে পেয়েছেন তাঁর দাদা বিল্টুকে। রবিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তিথি বসু সেরকমই এক আভাস দিলেন। এদিন ঝিলিক তাঁর ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে অভিনেতা আয়ুষ দাসকে। এই ছবি পোস্ট করে তিথি ফেসবুকে লেখেন, 'বিল্টু আর ওর হারিয়ে যাওয়া দিদি পরী (ঝিলিক)! অবশেষে দিদিকে খুঁজে পেল তার ভাই! এবার এক সঙ্গে মাকে খোঁজা হবে!' তিনি তাঁর এই পোস্টে নিজেদের অফস্ক্রিন সম্পর্কের কথাও জানান। তাঁদের বন্ডিংয়ের বিষয়ে লেখেন, 'অনস্ক্রিন ভাই হতে হতে কবে যে সত্যিই নিজের ভাই হয়ে গেছে বুঝিনি!' তিথি জানিয়েছেন যে প্রায় এক দশক পর তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করলেন।
আরও পড়ুন: ৫ বছর পর ফের সিরিয়ালে ফিরছেন 'রাণু পেল লটারি'-র বিজয়লক্ষ্মী, এতদিন কী করছিলেন ?
আরও পড়ুন: প্রেম ভাঙল নাকি দেবচন্দ্রিমার প্রাক্তন সায়ন্তর? বর্তমান প্রেমিকা বললেন...
জমিয়ে অভিনয় করছেন আয়ুষ
একদিকে যেমন ঝিলিক তথা তিথি অভিনয় জগত থেকে একেবারেই দূরে রয়েছেন অন্যদিকে আয়ুষ দাস এখনও বিভিন্ন ধারাবাহিকে কাজ করে চলেছেন। ছবিতে আয়ুষকে একটি হলুদ টিশার্ট এবং জিন্সে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে তিথির পরনে ছিল প্রিন্টেড শার্ট এবং জিন্স। দুজনে হাসিমুখে ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন। এই ছবি পোস্ট হতেই নেটিজেনরা মা সিরিয়ালের বহু স্মৃতির কথা তুলে ধরেছেন তিথির কমেন্ট বক্সে।
তিথির ব্রেকআপ হয়েছে সদ্য
কিছুদিন আগেই তিথির সঙ্গে তাঁর ক্রিকেটার প্রেমিকের ব্রেকআপ হয়েছে। সেই কথাও তিনি জানিয়েছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। এখন তিথি জোর কদমে ভ্লগ করে চলেছেন। তাঁর নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। অভিনয়কে বিদায় দিয়ে তিথি তথা ঝিলিক এখন ইউটিউবার হয়ে গিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার ছোট ছোট ভিডিও সহ তাঁর রোজকার জীবনের বিষয়গুলিকে তুলে ধরেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার্সের সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি।