২৪ জুলাই মহানায়ক উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবস। তিনি আজও বেঁচে আছেন বাঙালির মননে। এই বিশেষ দিনে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফ থেকে ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয়েছিল একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। এদিন বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘মহানায়ক’ সম্মান প্রদান করা হল শিল্পীদের। হাজির ছিলেন চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই। শিল্পীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা ছবিতে সামগ্রিক অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেলেন শিল্পীরা। এবছর মহানায়ক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুক্মিণী মৈত্র। চার দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার পেলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া বিশেষ চলচ্চিত্র সম্মান পেলেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, অম্বরিশ ভট্টাচার্য ও রুক্মিণী মৈত্র।
এদিন আরও একটি বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জল্পনা ছিল আগেই, এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই খবরটি নিশ্চিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হবে ৪ থেকে ১১ ডিসেম্বর। এবছর কিফের চেয়ারপার্সন পদে থাকছেন না রাজ চক্রবর্তী। সিনেমার পার্বণের চেয়ারপার্সন রূপে দেখা যাবে গৌতম ঘোষকে। এছাড়া প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে পাওয়া যাবে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে।
কলকাতার এই চলচ্চিত্র উৎসব প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের খুব কাছের। একটা সময় তিনি নিজেই কিফের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন। মাঝে কিছুটা মান-অভিমানের পর্ব চলেছিল। তবে গত বছর অনেকটা সময় নন্দনে দেখা গিয়েছেন তাঁকে। ২৯ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন প্রসেনজিৎ।
এবছর মহানায়কের প্রয়াণ দিনে বিশেষে সম্মান পেয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী। বাংলা জীবনমুখী গান মানেই সবার আগে তাঁর কথাই মাথায় আসে। নয়ের দশকের তাঁর সব গান আজও হিট। বয়স নির্বিশেষে নচিকেতার গান থাকে সব সময় বাঙালি শ্রোতাদের প্রিয় প্লে-লিস্টে। নচিকেতা, একাধারে গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে মন জয় করেছেন অসংখ্য মানুষের। এদিন মঞ্চে শিল্পীর সঙ্গে মজার কথোপকথন করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "শুধু একটা রিকোয়েস্ট থাকবে একটু খাওয়া-দাওয়া করতে বলুন তো। একদম খায়-দায় না, দেখুন চেহারাগুলো কী হয়েছে সব। খাওয়া-দাওয়াটা করতে হবে। আমি খাওয়া-দাওয়া করি ঠিক মতো, আমি তো ইচ্ছে করেই কমিয়েছি। কিন্তু নচিকেতা কমাতে কমাতে এমন জায়গায় করেছে যে তার কোনও তুলনাই চলে না। কিন্তু ভাল থাকতে হবে একটু। আমি বলেছি তুমি যদি খাওয়া-দাওয়া না কর তাহলে তোমার বাড়িতে গিয়ে হানা দেব এবারে।"