গত ১৮ মে সাতপাকে বাঁধা পড়েন আলতা ফড়িং খ্যাত অভিনেত্রী মিষ্টি সিং। ১৪ বছরের পুরনো প্রেমিকের গলায় মালা দেন অভিনেত্রী। মিষ্টি ও রেমোর বিয়েতে হাজির ছিল গোটা টেলিপাড়া। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের এক সাত তারা হোটেলে বসেছিল মিষ্টি-রেমোর বিয়ের গ্র্যান্ড আসর। আর সেই আসরে সকলের নজর কাড়লেন একজনই। তিনি হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন শুধু নবদম্পতিকে আশীর্বাদই দেননি, বরং দামী এক উপহারও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Misty Singh Wedding: সুদীপ্তার পর বিয়ের পিঁড়িতে মিষ্টি সিং, সাতপাকে ঘুরবেন কার সঙ্গে?
মিষ্টির বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
টেলি অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা সৌম্য বক্সীর বিয়েতেও আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে হাজির থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে মিষ্টি সিং ও রেমোর বিয়েতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। নবদম্পতিকে আর্শীবাদ দিতে পৌঁছেছিলেন মমতা। তবে শুধু আশীর্বাদ দিয়েই ক্ষান্ত হননি, অভিনেত্রীকে দিয়েছেন উপহারও। মিষ্টির বিয়ের আসরে তাঁর হাতে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া গোলাপী রঙের মোড়ক দেওয়া উপহারও দেখা গিয়েছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে যে কী উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মিষ্টিকে। অভিনেত্রী নিজেই অবশ্য বিষয়টি খোলসা করেছেন। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানান যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সোনাহ হার উপহার দিয়েছেন। যদিও এখনও সেই হার পরার সৌভাগ্য হয়নি অভিনেত্রীর।
কালীঘাটে গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন মিষ্টি
মিষ্টি ও রেমো নিজে গিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বিয়ের কার্ড দিয়ে এসেছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে বিয়েতে আসবেন তা ভাবতেও পারেননি অভিনেত্রী। মিষ্টি সিং এও জানান যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ব্যস্ত শিডিউল থেকে সময় বের করে তাঁর বিয়েতে এসেছেন এতেই কৃতজ্ঞ তিনি। মিষ্টি সিং এও বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী তো হুট করে কারোর বিয়েতে যান না, কিন্তু তাঁর বিয়েতে এসেছেন। মিষ্টি এও জানান যে তাঁর সাজের প্রশংসাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিবারের পরিচয় করিয়ে দেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: নাচে-গানে মিষ্টি-রেমোর গায়ে হলুদ-মেহেন্দি পর্ব
মিষ্টি-রেমোর বিয়েতে বসেছিল চাঁদের হাট
বৃহস্পতিবার মিষ্টি সিংয়ের বিয়েতে বসেছিল চাঁদের হাট। টেলিভিশনের চেনা মুখদের ভিড় দেখা গেল মিষ্টি ও রেমোর বিয়েতে। সামাজিকভাবে তাঁরা বিয়ে না করলেও আইনিভাবে বিয়ে সারেন রেমো ও মিষ্টি। যদিও সিঁদুরদান-এর রীতি পালন করা হয়েছে। বিয়ের আগে গায়ে হলুদ ও মেহেন্দি সেরিমনিও হয় জাঁকজমকের সঙ্গে। বিয়ের দিন মিষ্টিকে লাল রঙের লহেঙ্গায় দেখা গিয়েছে আর রেমো পরেছিলেন সাদা রঙের শেরওয়ানি।