সোমবার দিল্লিতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছেন নব নির্বাচিত সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন থেকেই শুরু হল অষ্টাদশ লোকসভা অধিবেশ। এদিন সংসদে প্রবেশ করতে দেখা গেল রচনা, জুন, সায়নীদের। দিদি নম্বর ১-এর কাছে এই অভিজ্ঞতা একেবারেই আনকোরা। তবে রাজনীতিতে আসার ফলে রচনার জীবনে আরও একটি পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। এত বছর যে স্বামীর সঙ্গে দুরত্ব ছিল রচনার, ভোটযুদ্ধ সেই দুরত্ব ঘুচিয়ে দিয়েছে। ভোটের সময়ই দেখা গিয়েছিল রচনার স্বামী প্রবাল বসুকে সবসময় স্ত্রীর পাশে থাকতে। আর রচনার শপথগ্রহণের দিনও যে স্বামী প্রবাল তাঁর পাশে থাকবেন এটা তো জানা কথাই ছিল। স্বামী প্রবাল ও ছেলে প্রণীল রওনা দিলেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। আর সেই ছবি পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
সবুজ রঙের টি-শার্ট, কালো জিন্স, হাতে কফি, দিল্লি যাওয়ার জন্য একেবারে তৈরি প্রবাল। রচনার ছেলেও যাচ্ছেন বাবার সঙ্গে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই দুজনে ছবি পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রবাল এই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, বহুযুগ পর আমরা একসঙ্গে সফর করছি। তোমার পাশে আমায় সবসময়ই খাটো দেখায়। প্রসঙ্গত, প্রবাল বসু ছেলে প্রণীলের সঙ্গে বহু বছর পর একসঙ্গে কোথাও যাচ্ছেন। রচনা-প্রবালের ছেলে প্রণীলও উচ্চতায় ছাড়িয়ে গিয়েছে মা-বাবাকেও। তাই পাশে ছেলে দাঁড়ালে প্রবালকে তার চেয়ে উচ্চতায় ছোট দেখায়।
বহু বছরই এক ছাদের তলায় থাকছিলেন না প্রবাল ও রচনা। ছেলে প্রণীলকে একাই মানুষ করছিলেন রচনা। তবে লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার পর থেকেই গোটা সমীকরণটাই বদলে গেল। ভোটের প্রচারে হোক অথবা হলফনামা জমা, সব জায়গাতেই রচনাকে সামলাতে দেখা গিয়েছে তাঁর স্বামী প্রবালকুমার বসুকে। স্ত্রীর জয়ের পর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ছিলেন প্রবাল। ভোট আবহেই ফের কাছাকাছি এলেন রচনা-প্রবাল। সাংসদ হওয়ার পর নিজের জয়ের সেলিব্রেশন পরিবারের সঙ্গে করতে দেখা গিয়েছিল রচনাকে। ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে লাঞ্চ করতে যান তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়।
২০০৭ সালে বিয়ে হয় রচনা-প্রবালের। বেশ কিছু বছর একসঙ্গে থাকার পর তাঁরা আলাদা আলাদা থাকতে শুরু করেন। সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও একে-অপরকে ডিভোর্স দেননি তাঁরা। সিঙ্গেল মাদার হয়েই ছেলেকে মানুষ করেছেন তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী প্রবাল। সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পরই রচনা বিয়ে করেন প্রবালকে। ২০১৬ সাল থেকে রচনা-প্রবাল আলাদা থাকতে শুরু করেন। সেপারেশন এর পর থেকে প্রবাল একজন ভাল বন্ধু হিসাবে সবসময় পাশে ছিলেন রচনার। দীর্ঘ সময় আলাদা থাকলেও ছেলের জন্য যাতায়াত করতেন একে অপরের বাড়িতে। আর এখন সবটা দেখার পর এটাই মনে হচ্ছে ফের সংসারে ফিরছেন রচনা-প্রবাল।