সম্প্রতি বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের আইনিভাবে স্ত্রী হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। কাঞ্চন-শ্রীময়ীর আইনি বিয়ের পর থেকেই তাঁদের নিয়ে আলোচনা একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। গত বছরের শেষদিক থেকেই তাঁদের বিয়ে নিয়ে জল্পনা ছিল। তবে আদালতে কাঞ্চন ও পিঙ্কির ডিভোর্স মামলা চলছিল বলে তা এতদিন আটকে ছিল। তবে গত ১০ জানুয়ারি পিঙ্কির সঙ্গে কাঞ্চনের আইনি ডিভোর্স হওয়ার পরই আর দেরি না করে শ্রীময়ীর সঙ্গে আইনি বিয়েটা সেরে ফেলেন কাঞ্চন। যদিও তাঁদের সামাজিকভাবে বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে ৬ মার্চ। আর এরই মাঝে মিনি হানিমুন সেরে নিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
না, কোথায় গিয়েছেন সেটা শ্রীময়ী খোলসা করে বলেননি ঠিকই। তবে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে অভিনেত্রী তাঁর তিনটে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন. শহর থেকে অনেক দূরে। আর সেখানেই একেবারে লাস্য়ময়ী অবতারে ধরা দিলেন তিনি। সমুদ্রের পাড়ের কোনও রিসর্টের ব্যালকনিতে ভেজা শরীরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ্রীময়ী। তাঁর পরনে শ্যাওলা সবুজ জাম্পস্যুট। পোশাকের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লাল অন্তর্বাস। আর এই ছবিগুলি তাঁকে তুলে দিয়েছেন মিস্টার মল্লিক অর্থাৎ কাঞ্চন। এই ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষের বন্যা নামে কমেন্ট বক্সে। অনেকেই বিধায়ক কাঞ্চনকে বুড়ো বলে সম্বোধন করেছেন আবার কেউ কেউ লিখেছেন যে কাঞ্চন নাকি বশীকরণ জানেন।
তবে এইসব ট্রোলের কোনও জবাবই দেননি শ্রীময়ী। বরং তিনি এখন তাঁর বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে বিশাল ব্যস্ত। তার সঙ্গে তো রয়েছে তাঁর পেশাগত জীবনের কাজও। অপরদিকে কাঞ্চন ফিরে এসেই বিয়ের আগে বাড়িতে মাঘী পূর্ণিমার পুজো করান। সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিনেতা নিজেই। নতুন জীবনে প্রবেশ করার আগে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিলেন কাঞ্চন। প্রসঙ্গত, শ্রীময়ীর বয়স ২৬, কাঞ্চনের ৫৩। অর্থাৎ দ্বিগুণ বয়সের ডিভোর্সি পুরুষকে বিয়ে করেছেন শ্রীময়ী। পিঙ্কির স্বামী থাকাকালীনই শ্রীময়ীর সঙ্গে সম্পর্ক শুরু কাঞ্চনের। যদিও সেই সম্পর্কের কথা দুজনে অনেকবারই অস্বীকার করে গিয়েছেন।
কাঞ্চন তার আগে অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন কাঞ্চন। ২০১০ সালেই ভাঙে প্রথম বিয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কিকে ডিভোর্স দেওয়ার ২৩ দিনের মধ্যেই শ্রীময়ীকে বিয়ে করেছেন উত্তরপাড়র তৃণমূল বিধায়ক। গত রবিবার সামনে এসেছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের খবর, তারপর থেকে চর্চা থামছে না এই জুটিকে নিয়ে। সোশ্যাল ম্যারেজের পর হানিমুনে যাওয়ার প্ল্যান আপাতত নেই। দুজনেই চুটিয়ে কাজে মন দেবেন।