টলিউডের পাওয়ার কাপল হিসাবেই পরিচিত ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা। তবে এই বছর টলিপাড়া সরগরম তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে। এখন আর এক ছাদের তলাতেও থাকেন না যিশু-নীলাঞ্জনা। দুই মেয়েকে নিয়ে নীলাঞ্জনা নিজের মতো করেই সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন। তা বলে বাদ নেই উৎসব-পুজো পার্বণ উদযাপন। এই বছর পুজোতে মুম্বই গিয়েছিলেন নীলাঞ্জনা, সঙ্গে দুই মেয়ে। কিছুদিন আগেই ছোট মেয়ে জারার জন্মদিন ছিল আর সোমবার বড়মেয়ে সারার জন্মদিন। তবে বড় মেয়ে সারাই যেন নীলাঞ্জনার ভরসা জায়গা, আশ্রয়। তাই মেয়ের জন্মদিনে তাঁকে খোলা চিঠি লিখলেন মা নীলাঞ্জনা। জানালেন কততা কাছের সারা।
মেয়ের দুটি ছবি পোস্ট করে নীলাঞ্জনা তাঁর দীর্ঘ পোস্টে লেখেন, শুভ জন্মদিন নিনোলা। মাঝে মাঝেই আমি তোমাকে আমার দুর্বলতা দেখিয়ে ফেলি, মাঝে মাঝে অভিযোগ জানাই, মাঝে মাঝে তোমার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদি। তবে যত তুমি বড় হয়েছ, আমি বুঝেছি তুমি আমার থেকেও অনেক বেশি দৃঢ়চেতা। আমি মাঝে মাঝে আমার দুর্বলতাকে প্রকাশ করি বলে ভেব না যে আমি দুর্বল বা তোমাকে আগলে রাখতে পারব না। নীলাঞ্জনা আরও বলেন, তুমি আমার প্রথম সন্তান, তুমি সবসময় আমার ছোট্ট মেয়েই থাকবে, আমি তোমায় সবসময় আগলে রাখব আর আমি পারব। আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠো সারা, তুমি আমার রাজকন্যা। এই পৃথিবী তোমার জন্য অপেক্ষা করছে দুহাত খুলে।
এরপর নীলাঞ্জনা মজা করেই বলেন যে সবার প্রথমে মা চিৎকার করবে, গলা ফাটাবে। সে সারা যে ক্ষেত্রেই কাজ করুক না কেন। তবে নেটপাড়া লক্ষ্য করেছে, মেয়ের জন্মদিনে যিশু কিন্তু প্রকাশ্যে চুপই রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত যিশুকে কোনও কিছুই শেয়ার করতে দেখা যায়নি। ১৯ বছরে পা দিলেন সারা। মা নীলাঞ্জনার এই সময়ে সারা তাঁর পাশে ছিলেন দৃঢ়ভাবে, মাকে সমর্থন করে গিয়েছেন। যে কারণে বাবা যিশু সেনগুপ্তকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করে দিয়েছেন সারা। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের উমা ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে ডেবিউ করে সারা। এরপর আর তাঁকে সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের হয়ে ব়্যাম্পে হেঁটে ফেলেছেন তিনি।
ডিভোর্সের বিষয়ে যিশু-নীলাঞ্জনা দুজনেই চুপ। নীলাঞ্জনা সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিলেও যিশু এক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করেননি। প্রায় ২০ বছরের দাম্পত্যে চিড় ধরেছে তাঁদের। এই বিচ্ছেদের পিছনে আসল কোন কারণ তা জানা যায়নি। আপাতত সারা ও জারাকে নিয়ে নীলাঞ্জনা ব্যস্ত তাঁর প্রযোজনা সংস্থার কাজে।