পল্লবী দে-র লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। টানা দু'দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। আর্থিক প্রতারণার মামলায় ধরা হয়েছে তাঁকে। সোমবার পল্লবীর বাবা নীলু দে গড়ফা থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত সাগ্নিক ও তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকার। মেয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ঐন্দ্রিলাকে ঘরে আনতেন সাগ্নিক। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেই মেয়েকে খুন করেছেন। পল্লবীর টাকায় বাড়ি-গাড়িও কিনেছেন সাগ্নিক। মেয়ের ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নমিনিও ছিলেন। দুদিন ধরে সাগ্নিককে জেরা করে পুলিশ। চাওয়া হয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও। এ দিন সন্ধ্যায় সাগ্নিককে গ্রেফতার করা হল।
গড়ফার ফ্ল্যাটে লিভ-ইন করতেন সাগ্নিক ও পল্লবী। বিবাহিত পরিচয় দিয়ে সেখানে থাকতেন তাঁরা। এ দিন পল্লবীর বাবা দাবি করেছেন, সাগ্নিক বিবাহিত। সেটা লুকিয়েছিলেন প্রথমে। পল্লবী জানার পর ডিভোর্সের মামলা করেছেন বলে দাবি করেন সাগ্নিক। এমনকি পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থেকেও তিনি 'চিট' করেছেন। পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ওই ফ্ল্যাটে ঐন্দ্রিলা সরকারকে নামে পল্লবীর বান্ধবীকে আনতেন। পরিবারের অভিযোগ, পল্লবীর টাকায় রাজারহাটে ৮০ লক্ষের ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন সাগ্নিক। কিনেছিলেন অডি গাড়িও।
গড়ফা থানায় রাতভর চলে সাগ্নিককে জেরা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আগাগোড়া হাজির ছিলেন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক অতুল ভি। পল্লবীর টাকায় সম্পত্তি কেনা নিয়েও সাগ্নিককে জেরা করা হয়। সাগ্নিক অবশ্য দাবি করছেন, ধারাবাহিকের কাজ শেষ হচ্ছে। তাঁর হাতে কাজ নেই। আর্থিক অনটনে আশঙ্কায় ভুগছিলেন। হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন পল্লবী। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও বলছে, আত্মহত্যাই করেছেন অভিনেত্রী।