গত ২৭ নভেম্বর হঠাৎই বিয়ে করে নেন টলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের পর পরই অবশ্য তাঁরা তাঁদের হানিমুন সেরে এসেছেন, তাও আবার আয়াল্যান্ডে। পিয়া-পরমব্রতর নতুন সংসারের গাড়ি ভালই চলছে। আর এরই মাঝে বিয়ের ২ মাস কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় হানিমুনে গেলেন তারকা দম্পতি। যার ঝলক মিলল পিয়া ও পরমের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
পাহাড়ের রানি দার্জিলিংয়ে সময় কাটাচ্ছেন পরম ও পিয়া। একান্তে সময় কাটানোর ঝলক পাওয়া গেল পিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। পিয়ার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা গিয়েছে, হট চকোলেট থেকে কুঙ্গার একবাটি স্যপি নুডলস। আর সঙ্গে এই বিখ্যাত চাইনিজ রেস্তোরাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় মেনু চিলি পর্কেরও। কুঙ্গার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া হল গ্লেনেরিজেও। পরমব্রতর একটি ছবিও দিলেন ইনস্টা স্টোরিতে। যা তোলা হয়েছে পিছন থেকে। পরম পরে রয়েছেন কালো রঙের ওভারকোট। কাঁধে ব্যাগপ্যাক। দু হাত ঢোকানো জ্যাকেটের পকেটে। চারদিক মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে। গ্লেনেরিজের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছেন। যদিও সেখানে তাঁরা একা নেই, দুই বন্ধুও রয়েছে। সঙ্গে চা বাগান, লম্বা দেবদারু গাছ, পাহাড়ের খাদের সৌন্দর্যও উঠে এসেছে পিয়ার ইনস্টা স্টোরিতে। পোস্ট করেছেন ফেসবুকেও।
সবকিছু মিলিয়ে শীতের শেষ কয়েকটা দিন দার্জিলিংয়ে কাটাচ্ছেন পিয়া-পরমব্রত। বিয়ের পরই পিয়া ও পরমব্রত হানিমুনে চলে গিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডে। সেখান থেকে পিয়া কিছু ছবি দিলেও সেখানে পরমের দেখা মেলেনি। পরে অবশ্য দুজনে একসঙ্গে আয়ারল্যান্ডের ছবি পোস্ট করেন। সম্প্রতি পিয়া ও পরমব্রতকে দেখা গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রির একটি পার্টিতে। বিয়ের পর থেকে কম ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়নি পরমব্রত আর পিয়াকে।
২০২১ সালে পিয়ার সঙ্গে অনুপমের বিচ্ছেদ ঘোষণার ২ বছর পর পরমব্রতর সঙ্গে বিয়ে করেন পিয়া। সেই সময়তে বিয়ে ভাঙার কারণ হিসেবে নাম উঠেছিল পরমব্রতর। তবে সেই সময় একে-অপরকে শুধু ‘বন্ধু’ বলেই দাবি করেছিলেন। কিন্তু তারপরই তাঁদের বিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে তাঁদের আগে থেকে থাকা সম্পর্ক নিয়ে। ট্রোলে মুখ খুলেছিলেন পিয়া নিজেও। সাফ জানিয়েছেন, যেই দুই পুরুষ তাঁর জীবনে এসেছে, সবাই ছিল কারও না কারও প্রাক্তন। তাহলে কেন শুধু তাঁর চরিত্র নিয়েই এত কাঁটাছেড়া।
এমনকী, নেটপাড়ায় রটে যাওয়া ‘দুই সন্তানকে ছেড়ে পরমব্রতকে বিয়ে করেছেন তিনি’, এমন রটনারও সরাসরি প্রতিবাদ করেন। ফেসবুকে সেই সময় লিখেছিলেন, ‘জনস্বার্থে প্রচার করছি, বাধ্য হয়ে। পিয়া চক্রবর্তীর, মানে আমার, কোনো সন্তান নেই। কস্মিনকালেও ছিল না। দুটিও নয়, একটিও নয়। দয়া করে ফেক নিউজ ফ্যাক্টরির দ্বারা মুর্গী হবেন না। আচ্ছা নমস্কার। জনতার মঙ্গল হোক।’