বাংলা টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় এক সিরিয়াল হল নিম ফুলের মধু। যেখানে কৃষ্ণা দত্ত ও পর্ণার চরিত্র ইতিমধ্যেই দর্শকদের কাছে দারুণভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শাশুড়ি-বউমার এই তু তু ম্যায় ম্যায় দিন দিন নাটকীয় মোড় নিতে চলেছে। রিল লাইফের কারণে বাস্তবেও অনেকের চক্ষুশূল কৃষ্ণা দত্ত ওরফে অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। অপরদিকে দর্শকদের কাছে আদর্শ বউমা পর্ণা ওরফে পল্লবী শর্মা। পুজো তো প্রায় এসেই গেল, আর এই পুজোতে জবপ্রিয় শাশুড়ি-বউমার কী প্ল্যান রয়েছে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কৃষ্ণা দত্ত (অরিজিতা মুখোপাধ্যায়)
'পুজোর চারটে দিন কলকাতায় থাকতে চাই, আমার যে সব বন্ধু শহরের বাইরে থাকে তাঁরা এখানে আসেন। আমি ভিড় ঠেলে পুজো দেখতে পছন্দ করি না, তবে ফাঁকায় ফাঁকায় পুজো দেখতে ভালোবাসি। পুজোর সময় সব বন্ধুদের বাড়িতে আড্ডাখানা তৈরি হয়, বন্ধুরা আমার বাড়িতে আসে। একসঙ্গে আড্ডা-খাওয়াদাওয়া সব চলে। পুজোর এই চারদিন চুটিয়ে খাওয়া-দাওয়া হবে, কোনও ডায়েট মানা হবে না, যতক্ষণ পারো খেয়ে যাও। তবে মাকে নিয়ে একটা দিন বেরোতে হবে, আসলে পুজো শুরুই হয় মাকে নিয়ে। মায়ের সঙ্গে একটু খাওয়া-দাওয়া করি, এই সময়টা আমার আর মায়ের। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে পুজো শুরু হয়ে যায়। আর পুজো মানেই পুজোতে সাজাগোজা থাকতেই হবে, আমি যে ভীষণ সাজতে ভালোবাসি এমন নয়, কিন্তু প্রত্যেক বছর আমার বন্ধুরা অপেক্ষা করে থাকেন যে আমি কী শাড়ি পরছি আর কীভাবে সাজছি তা দেখার জন্য। সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের ভীষণ ব্যস্ততার মাঝেই টুকটুক করে শপিং করে ফেলেছি। পুজোয় নিম ফুলের মধুর টিমের সঙ্গে পুজো কাটানো হবে না, কারণ আমরা এতঘণ্টা ধরে একসঙ্গে কাজ করি, তাই এই সময়টা একে-অপরের থেকে দূরে থাকাই ভালো। তাই পুজোর সময় হবে না, পুজোর পর আবার দেখা হবে শ্যুটিংয়ে। পুজোর দিন যেটা খেতেই হবে তা হল অষ্টমীর দিন লুচি ছোলার ডাল বা লুচি আলুর দম। বছরের অন্য সময়ে এখন আর লুচি খাওয়া হয় না, তাই এখন অফিসিয়াল লুচির দিন দাঁড়িয়েছে অষ্টমী। তাই অষ্টমীর দিন অফিসিয়ালি লুচি খাওয়ার দিন, এমনিতে আমি সর্বভুক। সবকিছুই খাব পুজোর সময়।'
পর্ণা (পল্লবী শর্মা)
'সারাবছর তো খুব কাজে ব্যস্ত থাকি, শ্যুটিং থাকে, সে কারণে পুজোর সময়টা বিশ্রাম নেওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারা, খাওয়া-দাওয়া, পরিবারকে সময় দেওয়া এটাই হয়ে থাকে সাধারণত। ভিড় সেভাবে পছন্দ করি না আমি, তাই ঠাকুর দেখতে সেভাবে যাওয়া হয় না। ঘরোয়াভাবেই পুজো কাটাই। হ্যাঁ, পুজোর শপিং একেবারে হয়ে গিয়েছে। এ বছর শাড়ি, জাম্পস্যুট, সালোয়ার কামিজ, কমফর্টেবল পোশাক সব মিলিয়ে মিশিয়ে কিনেছি। পুজোতে একেবারেই ডায়েট নয়, ডায়েট ভুলে প্রচণ্ড খাওয়া-দাওয়া হবে, আমি ভীষণ ফুডি, তাই পুজোতে খাওয়া-দাওয়া একেবারে মাস্ট। অষ্টমীর দিন খিচুড়ি, মাটন বিরিয়ানি খেতেই হবে। এই দুটো ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ। আর অবশ্যই প্রত্যেক বছরের মতো অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেব। পুজোর চারদিন হয়ত রান্না করলে করতে পারি, তবে যেহেতু সারাটা বছর খুব ব্যস্ততার সঙ্গে কাটে, তাই এই কদিন বিশ্রামই নিতে চাই, তার মধ্যে যদি সময় পাই তবে অবশ্যই রান্না করব।