বাংলাদেশের অবস্থা এখন বেশ অস্থির। ছাত্রদের আন্দোলনের চাপের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার আগে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ছে সেনা। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে ওপার বাংলার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতোই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন টলিউডও। টলি পাড়ার তারকারাও চাইছেন এই রক্তঝরা অবিলম্বে বন্ধ হোক। বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসুক। বাংলাদেশের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কারণ প্রতিবেশী দেশের অভিনেত্রী রফিয়াৎ রশিদ মিথিলাকে বিয়ে করেছেন তিনি। আর এই অস্থির সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে রয়েছে সৃজিতের স্ত্রী ও মেয়ে আইরা। কেমন আছেন তাঁরা?
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে সৃজিতের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বারবার উঠে এসেছে একাধিক পোস্ট। এই মুহূর্তে পরিচালকের স্ত্রী ও কন্যা রয়েছেন বাংলাদেশে। কেমন আছেন তাঁরা? এক সংবাদমাধ্যমকে সৃজিত বলেন, আমার যোগাযোগ হয়েছে মিথিলার সঙ্গে। ওঁরা এখন নিরাপদেই আছেন। শুধু স্ত্রী-সন্তানই নয়, আমার অনেক বন্ধু আছে আমার ওই দেশে। আমার পরের ছবির নায়ক চঞ্চল চৌধুরী বাংলাদেশের। একটাই জিনিস চাই তাঁরা যেন সবাই সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। আর কোনও বিপদের আঁচ যেন তাঁদের গায়ে না লাগতে পারে।
প্রসঙ্গত, মৃণালের সেনের ১০০তম জন্মদিন উপলক্ষে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় তৈরি করেছিলেন ‘পদাতিক’ ছবিটি। ছবিতে মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। দিন দুই আগেই মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার। ভারতে ছবি মুক্তি পাবে ১৫ অগাস্ট। তার পরের দিন অর্থাৎ ১৬ অগাস্ট এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু এই মুহূর্তে ওপার বাংলার যেরকম পরিস্থিতি তাতে এই ছবির প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসান ছবি মুক্তির যাবতীয় পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছেন। শুধু পদাতিকই নয়, বেশ কিছু বাংলাদেশী ছবির মুক্তিও আটকে গিয়েছে।
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছেন টলিউডের একাধিক তারকারা। জিৎ, স্বস্তিকারা নিজেদের পোস্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের এই প্রতিবাদের পাশে আছেন তাঁরা। কিছুদিন আগেই সৃজিতের মেয়ে আইরাও তাঁর আঁকার মাধ্যমে ওপার বাংলার রক্তাক্ত অবস্থাকে তুলে ধরেন। সৃজিতও বারবার নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রীদের উপর গুলি চালানো বর্বরতা নিয়ে পোস্ট করেছেন। তবে সকলেই চাইছেন শান্তি ফিরে আসুক বাংলাদেশে।