সব মান-অভিমান, ভুল বোঝাবুঝির পালা শেষ। শহর জুড়ে বৃষ্টির মাঝেই এক হয়ে গেল দুই শালিক পাখি। যাঁরা বেশ কয়েক বছর আলাদা থাকছিলেন। কথা হচ্ছে টলিউডের চর্চিত জুটি রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রিয়াঙ্কা সরকারকে নিয়ে। চলতি বছরের দোলের সময় থেকেই এই দম্পতির মধ্যেকার চিড় ধরা সম্পর্ক ক্রমেই উন্নতির দিকে এগোচ্ছিল। ছেলে সহজের কথা ভেবে তাঁরা ঠিকও করেন যে এবার ফের একে-অপরকে সুযোগ দেবেন এবং নতুন করে সংসার পাতবেন। তবে মাঝে আইনি জটিলতা ছিল। সেটা এখন মিটে গিয়েছে। আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে খুব শীঘ্রই একসঙ্গে থাকতে শুরু করবেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।
নিজের ফেসবুকে রাহুল এই খুশির সংবাদ সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নেন। অভিনেতা লেখেন, আজ প্রবল বৃষ্টি...তাই বোধহয় ধারায় ধারায় কাটাকুটি হয়ে মিটে গেল সব...নতুন সুযোগ,আবার একসাথে। এই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট যে আবার একসঙ্গে থাকতে শুরু করবেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। ছেলে সহজের কথা ভেবেই তাঁরা ফের একছাদের তলায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শুধুই কি সহজের জন্য, উত্তরটা একেবারেই না। প্রিয়াঙ্কা ও রাহুল দুজনেই চেয়েছিলেন নিজেদের ভাঙা সম্পর্কটাকে জোড়া লাগাতে। বলা যেতে পারে, এ হল রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সংসারের দ্বিতীয় ইনিংস।
রাহুল এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তাঁরা খুব শীঘ্রই সংসার পাতবেন আবার। প্রিয়াঙ্কার বিল্ডিংয়ে একটা ফ্ল্যাট কিনবেন রাহুল। দুই পক্ষের তরফ থেকে যে আইনি জটিলতা ছিল সেটা এখন মিটে গেছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা। রাহুলের কথায়, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন এখনও সেটাই আছেন। রাহুল এর আগে জানিয়েছিলেন যে তিনি আর প্রিয়াঙ্কা মাঝে মাঝে একসঙ্গে ডেটে যেতে শুরু করেছেন। সম্পর্কটাকে সহজ করার চেষ্টা করছেন, যাতে ফিরে আসে সেই আগের ফ্লেভার।
২০১৮ সাল থেকে তাঁদের এই মামলা চলছিল। মাঝে অনেকটা সময় বয়ে গিয়েছে। ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে ছিল মামলার তারিখ। আদালতে কেউ হাজিরা না দেওয়ায় পর পর মামলার শুনানির তারিখ ধার্য হয় মার্চ, এপ্রিল ও জুলাইতে। তার পরই বিরোধ মিটিয়ে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দু’পক্ষ। প্রসঙ্গত, পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর চিরদনই তুমি যে আমার সিনেমার মাধ্যমেই কাছাকাছি আসেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।