আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি যেমন তোলপাড় তেমনি সংস্কৃতি জগতও নিজেদের মতো করে এই ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছেন। টলিউড তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এখন শুধুই প্রতিবাদের কড়া ভাষায় ভর্তি। বিচারের দাবিতে তারকারা মিছিলেও পা মিলিয়েছেন। আর এই আন্দোলনে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য।
আসলে বেশ কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে নিশানা করা হচ্ছে। নেটিজেনের একাংশের প্রশ্ন, কেন তিনি এতকিছুর পরও চুপ করে রয়েছেন। কেন তাঁর কোনও বক্তব্য সামনে আসছে না। অভিনেতা অনির্বাণের ছবিতে গিয়েও নেটিজেনরা কদর্য মন্তব্য করে আসছেন। আর এইবার অনির্বাণের পাশে দাঁড়ালেন পরিচালক দেবালয়। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। অনির্বাণকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন ইন্দুবালা ভাতের হোটেল খ্যাত পরিচালক।
মঙ্গলবার তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে অনির্বাণ প্রসঙ্গে দেবালয় লেখেন, ‘‘অনির্বাণ ভট্টাচার্য কেন নীরব, তাই নিয়ে দেখছি নানা ক্ষোভ। তিনি একজন শিল্পী। তাঁর কাজ নয় গিয়ে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখা। তাঁর কাজ তাঁর কাজে, নাটক সিনেমাতে তার বক্তব্য রাখা। সেটা না করতে পারলে তাঁকে দুষতে পারেন। পরিচালক আরও বলেন, সেলেব্রিটি’ কোনও আন্দোলনের চালিকাশক্তি হতে পারে না। পরিচালকের যুক্তি, ‘‘সর্বপ্রথম এই সবটা (প্রতিবাদ আন্দোলন) থেকে সেলেব্রিটিদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।’’ এরই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘‘মানুষ প্রতিবাদ করুক। সেলেব্রেটিরা ফানুস। আসিবে যাইবে ফুটেজ পাইবে। দেবালয়ের মতে, আরজি কর-কাণ্ডের পরবর্তী ঘটনা একেবারে রাজনৈতিক। সেখানে কেন তারকাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। দেবালয় লিখেছেন, ‘‘সেলেবরা বলছেন, কারণ, সুশীল সমাজে কোনও নেতা নেই। বিপক্ষ নেই। ব্রিটিশ ভারতের বিরুদ্ধে গান্ধীর কথা শুনত লোকে, ফিয়ারলেস নাদিয়ার বক্তব্য নিত না। নিলে ট্রোল হত, আমি নিশ্চিত।
দেবালয় জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনা নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে, তার সঙ্গে কোনও তারকা জড়িত থাকবেন কি না, সেটা মুখ্য হতে পারে না। প্রসঙ্গত, টলিউডের অধিকাংশ তারকাই যখন এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তখন একেবারে চুপ অনির্বাণ। অনির্বাণের চুপ থাকা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রযোজক রানা সরকারও। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে তিনি পোস্টও করেন। কিন্তু এতকিছুর পরও অনিবার্ণের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।