আরজি কর-কাণ্ড ঘিরে তুলকালাম রাজ্য-রাজনীতি। যার আঁচ এসে পড়েছে টলি পাড়াতেও। বড় এবং ছোটপর্দার তারকারা একজোট হয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন ধরেই টিনসেল টাউনের একাধিক পরিকল্পনা একের পর এক বাতিল করা হয়েছে। এবার বাতিল করা হল দিদি নম্বর ১-এর অডিশন। তৃণমূল সাংসদ তথা দিদি নম্বর ১-এর শো সঞ্চালনা করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর-কাণ্ড ঘটার পর থেকেই চুপ ছিলেন রচনা। আর ১৫ অগাস্ট এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতেই তোপের মুখে পড়েন। টেলি পাড়ার অন্দরের খবর, রায়গঞ্জে যে স্কুলের মাঠে এই শো-এর অডিশন হওয়ার কথা ছিল, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষাকর্মীদের একাংশের আপত্তির জেরেই সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে এই শো-এর অডিশন।
যদিও চ্যানেলের পক্ষ থেকে কোনও কারণ দেখানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, প্রিয় দর্শক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা জানাচ্ছি, অনিবার্য কারণবশত রায়গঞ্জে আগামীকাল (১৮ অগাস্ট) দিদি নম্বর ১ এবং রন্ধনে বন্ধনের অডিশন স্থগিত রাখা হয়েছে। পরিবর্তিত অডিশনের তারিখ খুব তাড়াতাড়ি জানিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ রবিবার দিদি নম্বর ১ ও রন্ধনে বন্ধন শো-এর অডিশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা স্থগিত রাখা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, রায়গঞ্জের ওই স্কুলের পক্ষ থেকে চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে যে আরজি কর-এর ঘটনায় যখন শোকে বিহ্বল গোটা দেশ, সেই মুহূর্তে এই ধরনের বিনোদনমূলক শো হোক স্কুল মাঠে তা তাঁরা চান না। স্কুলের সেই সিদ্ধান্তে সায় দিয়েই শো-এর অডিশন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পর থেকেই টলিউড সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দেব বিদেশে থাকলেও সেখান থেকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর খাদান ছবির টিজার লঞ্চ নির্দিষ্ট দিনে হচ্ছে না। পিছিয়ে দেওয়া হয় শিবপ্রসাদ-নন্দিতার বহুরুপী ছবির টিজারও। অপরদিকে, রাজ-শুভশ্রীর বাবলি ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংও বাতিল করে দেওয়া হয়। শহরজুড়ে একাধিক ইভেন্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই ঘটনার প্রতিবাদে। টলিউড তারকারা পথে নেমে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন।
তবে এতদিন মুখ খুলতে দেখা যায়নি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু ১৫ অগাস্টের দিন আরজি কর নিয়ে সরব হন হুগলির তৃণমূলের সাংসদ। আবেগে তাঁকে কাঁদতেও দেখা যায়। কিন্তু এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই নেটিজেনের একাংশের তোপের মুখে পড়তে হয় দিদি নম্বর ১-এর সঞ্চালিকাকে। কটাক্ষ এতটাই তীব্র ছিল যে রচনা সেই ভিডিও সরিয়ে দিতে বাধ্য হন। কিন্তু তাতেও সমালোচনা একবিন্দুও কমেনি। যদিও পাল্টা দিতে ছাড়েননি তৃণমূলের সাংসদও।