বয়স যে শুধুই একটা সংখ্যা তা বরাবরই প্রমাণ করে এসেছেন টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলেও তাঁকে দেখে বোঝার একেবারে উপায় নেই। ঋতুপর্ণার গ্ল্যামার থেকে চোখ ফেরানো দায়। প্রায় তিন দশক ধরে অভিনেত্রী রাজ করছেন এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। টলিউড ছেড়ে ঋতুপর্ণা বলিউডেও নিজের পা জমিয়ে ফেলেছেন। এপার বাংলার পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও অভিনেত্রীর ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে এতকিছুর পরও যদি বয়স নিয়ে খোঁটা শুনতে হয়, তবে মেজাজ ঠিক রাখা সত্যিই কঠিন। আর সেটাই হল ঋতুপর্ণার ক্ষেত্রেও।
সম্প্রতি অনন্য মামুনের স্পর্শ ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য ঢাকায় আসেন ঋতুপর্ণা। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে গত রবিবার থেকে। ছবিতে ঋতুপর্ণার নায়ক নিরব হোসেন। আর এই ছবির সাংবাদিক বৈঠকে আচমকাই মেজাজ হারিয়ে ফেললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শোনা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই চলছিল। কিন্তু বয়স নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনেই রেগে যান অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণার কাছে জানতে চাওয়া হয়, '৫২ বছর বয়সেও আপনি একজন নায়িকা….', সাংবাদিকের প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই তিনি বলে উঠেন- ‘বয়স বলাটা কী খুব দরকার। আর ওই বয়সটা আমার হয়নি এখনও যেটা বলছেন। আমি হচ্ছি এভারগ্রিন’। এরপর ঋতুপর্ণার সাফ কথা, ‘নায়িকার বয়স কখনও বলতে নেই, আর পুরুষের স্যালারি কখনও বলতে নেই’।
এই উত্তর শোনার পরও ওই সাংবাদিক থামেননি। তিনি ফের প্রশ্ন করেন, ‘আপনি ৫২ বছর বয়সেও কী করে এতটা ফিট…. যেখানে বাংলাদেশি নায়িকারা ৩০-৩৫ বছর বয়সেই নায়িকা স্টেটাস হারায়’। এটা শোনার পর খানিক বিরক্তি দেখিয়েই অভিনেত্রী জানান যে আবার তিনি ৫২ বছর বলছেন। এমনকী তিনি সংবাদিক বৈঠক ছেড়ে উঠে যাওয়ার কথাও জানান। ঋতুপর্ণা বলেন যে নায়িকাদের সঙ্গে এভাবে কেউ কথা বলে। এরপর এই বিষয় নিয়ে আর প্রশ্ন করা হয়নি ঋতুপর্ণাকে।
চলতি বছরের নভেম্বরেই ৫১ বছরে পা দেবে। সুতরাং ৫২ না হলেও, ৫০-এর কোটা যে পেরিয়েছেন অভিনেত্রী তা খুবই স্পষ্ট। তবে বয়সের ছাপ তাঁর চেহারায় একেবারেই নেই। ঋতুপর্ণা নিজের বয়স সুন্দরভাবে ধরে রেখেছেন। তাই এই বয়সে এসেও বিকিনি বা ছোট পোশাকে অভিনেত্রী আজও পুরুষ হৃদয়ে ঝড় তোলেন। টলিউডের পাশাপাশি বাংলাদেশেও দারুণভাবে জনপ্রিয় ঋতুপর্ণা। বাংলাদেশের একাধিক জনপ্রিয় নায়কদের সঙ্গে অভিনেত্রী কাজ করেছেন।