আরও একবার ফিরতে চলেছে আবীর চট্টোপাধ্যায় ও ঋতাভরী চক্রবর্তীর জুটি। তাও আবার একই প্রযোজনা সংস্থার থ্রিলার ছবিতে। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি বহুরূপীর কাজ শুরু হতে চলেছে শীঘ্রই। এক সত্য ঘটনা অবলম্বনেই এই সিনেমা তৈরি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই উইন্ডোজ প্রোডাকশনের পক্ষ থেকে এই ছবির পোস্টার লঞ্চ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরই শিবপ্রসাদ-নন্দিতা তাঁদের প্রথম থ্রিলার ছবি রক্তবীজ উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। আর প্রথম থ্রিলারেই বাজিমাত করেছিলেন পরিচালক দ্বয়। এবার তাঁদের দ্বিতীয় থ্রিলার ছবির শ্যুটিং খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ছবির মাধ্যমে উইন্ডোজ ফেরাচ্ছে তাদের ফাটাফাটি জুটিকে। আবীর ও ঋতাভরীকে এর আগে উইন্ডোজের ফাটাফাটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল। এবারও এই জুটিকে এই সিনেমায় দেখা যাবে। তবে আবীর ও ঋতাভরীর সঙ্গে রয়েছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায় ও পরিচালক শিবপ্রসাদকেও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই পুজোতেই মুক্তি পাবে বহুরূপী।
জানা গিয়েছে, সত্যঘটনা নির্ভর এই ছবির প্রেক্ষাপট ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। সেই সময় সমাজে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনাকেই তুলে ধরা হবে এই সিনেমায়। পরিচালক শিবপ্রসাদ জানিয়েছেন যে শুধু সিনেমা নয়, তৈরি করা হচ্ছে তথ্যচিত্রও। যাঁরা এই সমস্ত ঘটনার সাক্ষী, তাঁরা এখনও জীবিত। অনেকেই সশরীরে জবানবন্দী দিয়েছেন, সাহায্য করেছেন ছবির চিত্রনাট্য নির্মাণে। সেই সমস্ত মুহূর্তকেও ফ্রেমবন্দি করে রাখা হচ্ছে তথ্যচিত্রের জন্য।
জানা গিয়েছে, মুক্তধারা তৈরি করার পরপরই এই ঘটনাটি নিয়ে ছবি করার পরিকল্পনা চলছিল। তবে মাঝে কোভিডের কারণে পিছিয়ে আসতে হয়। দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে বহুরূপী ছবিটি শুরু করতে পারছেন শিবপ্রসাদ-নন্দিনী। জানা গিয়েছে, এটি উইন্ডোজের এ যাবৎ সর্বাধিক বাজেটের ছবি হতে চলেছে। ৪০ দিন ধরে শ্যুটিং চলবে। বোলপুর, বরানগর, বানতলা, বহরমপুর, বেলডাঙা সহ আরও কিছু জায়গায় শ্যুটিং হবে। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মোট ৭৮টি লোকেশনে শ্যুটিং হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে, পুজোয় আসছে 'বহুরূপী'। শিবপ্রসাদের ছবিতে প্রথমবার কাজ করতে চলেছেন কৌশানী। এর আগে রাজ চক্রবর্তীর আবার প্রলয় ছবিতে কৌশানীর কাজ ভাল লেগেছিল, তখনই শিবপ্রসাদ তাঁকে তাঁর আগামী ছবিতে নেওয়ার কথা ভাবেন।
গত বছর পুজোতেও আবীর ও মিমির রক্তবীজ দর্শকরা দারুণ পছন্দ করেছিলেন। বক্সঅফিসে শিবপ্রসাদ-নন্দিতর প্রথম থ্রিলারধর্মী ছবি এভাবে হিট করবে তা অনেকেই ভাবেননি। পরিবার ও সমাজভিত্তিক ছবির ছক ভেঙে শিবপ্রসাদ নতুন কিছু করার সাহস দেখিয়েছেন, যা রীতিমতো প্রশংসিত।