গত বছর থেকেই যাঁদের প্রেম নিয়ে টলিউডে তুমুল চর্চা হচ্ছে, তাঁরা আর কেউ নন সোহিনী সরকার ও শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। শোভন-সোহিনীর প্রেম নিয়ে চর্চা হলেও নিজেরা সম্পর্কে থাকার কথা একেবারেই স্বীকার করতে নারাজ। তবে মাঝে মাঝে কিছু ছবি, কিছু মুহূর্ত এমন চলে আসে, যেখান থেকে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে ফের শুরু হয় আলোচনা। আর সেরকমই এক বিয়েতে একফ্রেমে ধরা দিলেন সোহিনী ও শোভন। সোহিনী নিজেই সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তাহলে কি সোহিনী আর শোভন নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিলেন?
২২ জানুয়ারি ছিল সোহিনীর এক বান্ধবীর বিয়ে। অভিনেত্রীর সেই বান্ধবী আবার ব্লগারও। আর সেই বিয়েতেই একসঙ্গে দেখা গেল সোহিনী ও শোভনকে। এই বিয়েতে দেখা গিয়েছে সোহিনীর মাকেও। বন্ধুর বিয়েতে সোহিনীকে দেখা গেল তামাটে রঙের শাড়িতে, টেনে বাঁধা খোঁপার সঙ্গে ছিল ভারি ঝুমকো। আর শোভন পরেছিলেন কালো রঙের পাঞ্জাবী ও লাল শাল নিয়েছিলেন। একটা ছবিতে দেখা গেল শোভন ও সোহিনী ক্যামেরার দিকে চেয়ে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছেন, অন্য ছবিতে শোভনের দিকে অপলকভাবে তাকিয়ে সোহিনী। ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে এই দুটো ছবি শেয়ার করেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে সোহিনীর ব্রেকআপ হওয়ার পর পরই অভিনেত্রী শোভনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। অপরদিকে, গতবছর সম্পর্ক ভেঙেছে স্বস্তিকা ও শোভনের। এরপরই টলিপাড়ায় এই দুই তারকার কাছাকাছি আসা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। জানা যায়, যিশু সেনগুপ্তের এক অনুষ্ঠানে একে-অপরের কাছে আসেন শোভন-সোহিনী। এরপর সোহিনীর মায়ের জন্মদিনেও দেখা মিলেছিল শোভনের। জন্মদিনে ছুটি কাটাতে সোহিনী পাড়ি দিয়েছিলেন সমুদ্রতটে। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন টলিউডের বন্ধুবান্ধবেরা। আর সেই তালিকায় ছিলেন শোভনও। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নেওয়া ছবি থেকেই প্রকাশ্যে আসে সেই কথা। বন্ধুদের দলে দেখা গিয়েছিল শোভনকেও। দীপাবলির সময়েও একসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা শেয়ার করে নিয়েছিলেন সেলফি।
এমনকী পুজোতেও দুজনে একসঙ্গে রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু এতসবের পরও নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে নারাজ শোভন-সোহিনী। তবে সোমবার রাতে বন্ধুর বিয়েতে এঁদের দুজনকে দেখে মনেই হল যে এবার হয়ত নিজেদের সম্পর্কের কথা ধীরে ধীরে সকলের সামনে নিয়ে আসছেন তাঁরা।