Advertisement

Exclusive: করোনা কেড়েছে স্টেজ শো, পিক সিজনে জানুন বাংলা ব্যান্ডের হাল হকিকত

নতুন বছর আসতে আর হাতে গোনা দিন বাকি। বর্ষশেষ (Year End) ও বর্ষারম্ভের (New Year) এই সময়কালে চারিদিকের বিভিন্ন কনসার্ট (Live Concert) ও অনুষ্ঠানে মেতে থাকেন সকলে। তবে বলাই বাহুল্য এবছরের নভেল করোনা ভাইরাসের (Novel Corona Virus) জেরে সেই পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। বছরের এই 'পিক সিজিনে' বাংলা ব্যান্ডের (Bangla Band) হাল-হকিকত জানলো আজতক বাংলা।

রূপম, সুরজিৎ, সিধু, উপল (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)রূপম, সুরজিৎ, সিধু, উপল (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 22 Dec 2020,
  • अपडेटेड 10:41 PM IST
  • বছরেই সময়কালে চারিদিকের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেতে থাকেন সকলে। 
  • এই বছর দেখা মিলছে ভিন্ন চিত্রের।
  • আজতক বাংলা-র সঙ্গে কথা বললেন বাংলা ব্যান্ডের শিল্পীরা।

নতুন বছর আসতে আর হাতে গোনা দিন বাকি। বর্ষশেষ (Year End) ও বর্ষারম্ভের (New Year) এই সময়কালে বিশ্ব জুড়ে চারিদিকে দেখা যায় সাজ সাজ রব। সকলে থাকেন 'হ্যাপি মুড'। তার সঙ্গে বছর শেষের এই সপ্তাহে চারিদিকের বিভিন্ন কনসার্ট (Live Concert) ও অনুষ্ঠানে মেতে থাকেন সকলে। তবে বলাই বাহুল্য এবছরের নভেল করোনা ভাইরাস জেরে সেই পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। গত নভেম্বরের শেষ দিকে মুক্ত মঞ্চের পাশাপাশি বদ্ধ জায়গায় অনুষ্ঠান করার অনুমতি মিললেও লাভ হয়নি কিছুই।

বছরের এই 'পিক সিজিনে' বাংলা ব্যান্ডের হাল-হকিকত জানলো আজতক বাংলা। প্রথম সারির ৪ বাংলা ব্যান্ড (Bangla Band) মেম্বারদের সঙ্গে কথা বললেন সৌমিতা চৌধুরী।

অন্যান্য বছর এই সময়ে যেখানে চারিদিকে দেখা যায় অনেক অনুষ্ঠান। কিন্তু এই দেখা মিলছে একেবারে অন্য চিত্রের। জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড 'চন্দ্রবিন্দু'-র (Chandrabindu) উপল সেনগুপ্ত (Upal Sengupta) জানালেন, "এই বছর আমাদের কোনও শো নেই বলা চলে। মাঝখানে পুজোর সময় কয়েকটা ভার্চুয়াল কনসার্ট করেছিলাম। আগামী ৩১ ডিসেম্বর সম্ভবত ১০ মাস পরে 'গান মেলা'-এ ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স করব। সামনের বছর দু একটা অনুষ্ঠানের কথা চলছে। তবে যতক্ষণ না সব কিছু ফাইনাল হচ্ছে কিছুই বলা যায় না।লকডাউনের পর সমস্ত ক্ষেত্রে একটা অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে বাজেট নিয়ে একটা সমস্যা হচ্ছে। তবে এটুকু বলতে পারি বাংলা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিই একটা সংকটের মধ্যে রয়েছে"। 

আরও পড়ুন

এর আগে জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড 'ভূমি' (Bhhomi) একজন মুখ্য গায়ক সুরজিৎ চ্যাটার্জি (Surojit Chatterjee)। এরপর তিনি তৈরি করেন 'সুরোজিৎ ও বন্ধুরা' (Surojit O Bondhura)। যেটিও যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাঁর কথায়, "অন্যান্য বছর ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাস নাগাদ আমাদের প্রচুর স্কুল ও কলেজে প্রোগ্রাম থাকে। এক ধাক্কায অনেকগুলি শো বন্ধ হয়ে গেল সব শিল্পীদের। অনেক ব্যান্ড তো এই সমস্ত শোয়ের উপরই বেঁচে থাকে। গ্রাম গঞ্জের অনুষ্ঠানেরও প্রায় একই অবস্থা। সামনের বছরের জন্য কয়েকটা ফোন আসছে। এখন দেখা যাক কি হয়। বাংলা ব্যান্ড সত্যিই একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভার্চুয়াল শো হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেটা কোনও ভাবেই ফিজিক্যাল কনসার্টেরর সমতুল্য নয়"।

Advertisement

দীর্ঘদিন কনসার্টে অনুপস্থিত ফসিলস্ (Fossils)। এই ব্যান্ডের কান্ডারী রূপম ইসলাম (Rupam Islam) অন্যান্য শিল্পীদের মতো অনেকটাই মিস করেছেন দর্শকদের সামনে অনুষ্ঠান। তাই তিনি ফসিলস্-র এক কাল্পনিক 'মেগা কনসার্ট'-র গান তালিকা সাজাচ্ছেন শ্রোতাদের জন্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে শেয়ার করেছেন সেই গানগুলি।ডিজিটাল স্ট্রিমিং অ্যাপে বিনামূল্যেই শোনা যাবে সেই সমস্ত গান। রুপমের কথায়," যতদিন না এই প্যানডেমিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ঠিক হবে, ততদিন আমরা কোনও অনুষ্ঠান করবো না। শুধু বাংলা ব্যান্ড নয় এই মুহূর্তে মানব সভ্যতাই একটা প্রশ্ন  চিহ্নের  মুখে দাঁড়িয়ে আছে।"

অন্যতম বাংলা ব্যান্ড 'ক্যাক্টাস'-র (Cactus) একজন মুখ্য গায়ক সিধু (Sidhu), "অনুষ্ঠান করার জন্যে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। মাঝখানে প্রচুর ডিজিটাল শো করেছি বলে আমরা প্রস্তুত। বদ্ধ জায়গায় দর্শকেরা যেতে একটু বেশি ভয় পাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু ওপেন এয়ার স্পেসে আমার মনে হয় না ভয়ের কোনও কারণ আছে। যদি ঠিকমত গাইডলাইন মেনে দর্শকদের বসানো যায়, তাহলে মনে হয় দর্শকেরা আসবেন। কারণ তাঁরাও তো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমি ইতিমধ্যে ৩১ ডিসেম্বর একটি শো করার প্রস্তাব পেয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হয়তো ডিজিটালের রমরমা কিছুটা কমবে। তবে যেমন টিভি চ্যানেল, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি আছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও থেকে যাবে। বিশেষত প্রবাসীদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক। পুনে বা পশ্চিমবাংলার বাইরে যেই বাঙালিটা থাকেন, উঁনি যদি ডিজিটাল কনসার্টের মাধ্যমে রুপঙ্কর, সিধু কিংবা অন্য কোনও শিল্পীকে দেখতে পান, তাহলে তো সেটাই তাঁদের প্রাপ্তি"। 

Read more!
Advertisement
Advertisement