অবশেষে জোড়া লাগল দুই হৃদয়। নানান চর্চা-জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৫ জুলাই সই-সাবুদের মাধ্য়মে বিয়ে সেরে ফেললেন টলিপাড়ার চর্চিত জুটি সোহিনী সরকার ও শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। পরিবার ও কাছের কিছু মানুষকে নিয়েই শহর থেকে দূরে এই বিয়ে সারেন সোহিনী-শোভন। প্রেম হওয়ার এক বছরের মাথাতেই বিয়ে সেরে নিলেন তাঁরা। এর আগে শোভনের সঙ্গে তিন বছরের সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত। কিন্তু শোনা যায় তাঁদের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি চলে আসার কারণেই শোভন-স্বস্তিকার ব্রেক-আপ হয়। কিন্তু কে ছিলেন এই তৃতীয় ব্যক্তি।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই শোভন-স্বস্তিকার ব্রেক-আপ নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় শোনা গিয়েছিল যে শোভন-স্বস্তিকার ভালোবাসার মাঝে ইমন চলে এসেছেন, যিনি গায়কের প্রাক্তন। কিন্তু সেই সময় ইমন নিজেই জানিয়েছিলেন যে তিনি শোভনের জীবনে কখনই কাঁটা হয়ে আসেননি। এরপর অবশ্য স্বস্তিকা-ইমনকে এক ফ্রেমে দেখার পর সেটা স্পষ্ট হয় যে শোভন-স্বস্তিকার মাঝে কোনওদিনই ইমন ছিলেন না। তবে এই দুই জুটির মাঝে কে চলে এসেছিলেন, সেটা সম্প্রতি স্পষ্ট করেছেন ইমন নিজেই।
ইমন এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তাঁর চোখের সামনেই ইমন-শোভনের প্রেমটা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর যিশু সেনগুপ্তের উদ্যোগে নজরুল মঞ্চে বাইশে শ্রাবণের অনুষ্ঠানে শোভন-সোহিনীর প্রেমের শুরু। সেই সময় কাছাকাছি আসেন তাঁরা। যদিও সে সময় অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সোহিনী। অন্য দিকে, শোভন ছিলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তের সঙ্গে। এরপরই সোহিনীর সঙ্গে রণজয় ও শোভনের সঙ্গে স্বস্তিকার ব্রেকআপ হয়। তার পর থেকেই এই দুই ‘সিঙ্গল’কে নিয়ে টলিপাড়ায় শুরু হয় গুঞ্জন। যদিও তাঁদের মুখে কুলুপ। অবশেষে সোহিনীর জন্মদিন ১ অক্টোবর তাঁদের একান্ত যাপনের ছবি প্রকাশ্যে এনে ফেলেন শোভন। যদিও কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেই ছবি মুছে দেন। কিন্তু, তত ক্ষণে অবশ্য তাঁদের প্রেমের খবর ছড়িয়ে পড়েছে টলিপাড়ায়।
দু’জনের কেউই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেননি। তবে খুব যে লুকিয়ে রেখেছেন, তেমনও নয়। অবশেষে ১৫ জুলাই বিয়েটা সেরেই নিলেন সোহিনী ও শোভন। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়ত এই বছর শোভন-স্বস্তিকার বিয়ে হত। অনন্ত সেরকমটাই প্ল্যান ছিল তাঁদের। কিন্তু ভাগ্য দেবতা হয়ত অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছিল। তাই স্বস্তিকার সঙ্গে তিন বছরের সম্পর্ক ছেড়ে বেড়িয়ে এলেন শোভন।