একসময় স্বস্তিকা-সৃজিতের সম্পর্ক নিয়ে টলিউডে চর্চা ছিল জোরদার। তাঁদের প্রেম কোনও সময়ই লুকিয়ে-চুরিয়ে হয়নি। বিয়ে পর্যন্ত এগোবে সেরকমই কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই এই সম্পর্ক ভেঙে যায়। যদিও অতীতের তিক্ততা ভুলে এখন স্বস্তিকা আর সৃজিত এখন খুবই ভাল বন্ধু। তবে এই সবের মাঝেই সৃজিতের কাছে আবদার করে বসলেন স্বস্তিকা। প্রকাশ্যেই সেই আবদার করেন অভিনেত্রী।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে একসময় সরগরম ছিল টলিউড। শোনা যায়, স্বস্তিকার সঙ্গে সময় কাটাতে পরিচালক কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনও চলে গিয়েছিলেন। সেসময় শান্তিনিকেতনে শ্যুট করছিলেন নায়িকা। তবে সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। জাতিশ্বর ছবির পরেই সম্পর্কে ফাটল ধরে তাঁদের। এমনকী এই ছবির প্রচারেও স্বস্তিকাকে দেখা যায়নি।
এরপর যে যাঁর জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন, এমনকী তিক্ততা ভুলে একসঙ্গে ছবিও করেছেন তাঁরা। সৃজিতের শাহজাহান রিজেন্সি ছবিতে মৃণালিনীর চরিত্রে নজর কাড়েন স্বস্তিকা। সৃজিত সেই সময় জানিয়েছিলেন যে স্বস্তিকার কথা ভেবেই সেই চরিত্র লেখেন তিনি। স্বস্তিকাও রাজি হয়ে যান। তাঁদের মধ্যে এখন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এখনও তাঁরা খুবই ভাল বন্ধু। সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই সৃজিতের কাছে আবদার করে বসেন স্বস্তিকা। জানেন কী সেই আবদার?
সম্প্রতি সৃজিত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে তাঁর ও পরিচালক বীরসা দাশগুপ্তের ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে সৃজিত যে পোশাকটি পরে রয়েছেন, তাতে আবোল তাবোলের প্রিন্ট। সেই ছবি দেখে স্বস্তিকা কমেন্ট করেন, এটা কী আবোল তাবোল জামা? যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আমারও একটা চাই’। তবে সেই কমেন্টের উত্তরে সৃজিত কিছু জানায়নি। অর্থাৎ স্বস্তিকার সেই আবদার তিনি পূরণ করবেন কিনা সে বিষয়ে জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, সৃজিত ও বিরসা দুজনেই ব্যোমকেশ নিয়ে কাজ করছেন। দুর্গরহস্যের ওপরই তৈরি হচ্ছে সিনেমা ও সিরিজ। সেইদিক থেকে দেখতে হলে সৃজিত ও বিরসা একে-অপরের প্রতিদ্বন্দী। তবে এই ছবির ক্যাপশনে সৃজিত লিখেছেন, দুর্গ বয়। আসলে একই বিষয় নিয়ে দুজনের ছবি করাকে ঘিরে ইন্ডাস্ট্রিতে কম জলঘোলা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে বরফ হয়তো গলেছে। কাছাকাছি এসেছেন দুই পরিচালক। এবার যুদ্ধ শুরু হবে সিনেমা ঘরে।