টলিউডের ব্যস্ততম পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় বাডিতে আস্ত অজগর পুষে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তাঁর বাড়িতে রয়েছে চার-চারটে পাইথন, যার মধ্যে পরিচালকের আদরের হল উলুপি। সৃজিতের মতো এই কীর্তি টলিউডের আর কাউকে করতে দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি অনুরাগের ছোঁয়া খ্যাত দিব্যজ্যোতিকে দেখা গেল গলায় বিরাট বড় অজগর ঝুলিয়ে তাকে আদর করতে। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই সকলের প্রশ্ন সৃজিতের পথেই কি হাঁটছেন ছোটপর্দার সূর্য?
দিব্যজ্যোতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও পোস্ট করেছেন, সেখানে অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে হলুদ ছোপ ছোপ সাপ গলায় ঝুলিয়ে তাকে আদর করতে। কখনও সাপের মুখ হাতে নিয়ে তাকে আদর করছে আবার কখনও তাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে। ভিডিওর শেষে সাপের কাছে দিব্যজ্যোতির আবদার তাঁকেও একটা চুমু দিতে হবে। দিব্যর সেই সাপ অবশ্য অভিনেতার আবদার রেখেছে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। অভিনেতার সাপ-প্রেম দেখে অনেকেই মনে করছেন তিনিও কি তবে সৃজিতের মতোই সাপ পুষতে চাইছেন? এই ভিডিও শেয়ার করে দিব্যজ্যোতি ক্যাপশনে লেখেন, প্রেমে পড়ে গেলাম। সাপ কামড়ায় না, আপনাকে সে প্রেমিক, ভাই অথবা বন্ধু বলে ডাকতেই পারে।
জানা গিয়েছে, টানা শ্যুটিং থেকে অবসর পেয়ে দিব্যজ্য়োতি পাড়ি দিয়েছিলেন থাইল্যান্ডে। মা-বাবা, বোন আসতে পারেননি। বদলে সঙ্গী দাদা আর মাস্টারমশাই। সেখানেই তিনি সাপের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, থাইল্যান্ডে দিব্যজ্যোতির গলায় থাকা সাপটি কর্ন স্নেক। ৩০ কেজি ওজন আর এই সাপ কামড়ায় না, নিতান্তই নিরীহ গোছের। দিব্যজ্যোতি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তাঁরও সাপ পোষার শখ রয়েছে। ছোট থেকেই তিনি এই সাপ পছন্দ করেন। একবার কিনবেন বলে ঠিকও করেছিলেন তবে মায়ের বকুনি খেয়ে আর সাহস পাননি।
প্রসঙ্গত, টিআরপি তালিকায় অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালটি দারুণ জায়গায় রয়েছে। সূর্য ও দীপা তথা স্বস্তিকার জুটি দর্শকদের দারুণ প্রিয়। কদিন আগে ৭০০ পর্ব পার করে অনুরাগের ছোঁয়া। শুধু যে টানা টিআরপিতে বেঙ্গল টপার হয়েছে তা নয়, বছ দেড় ধরে স্লটও রেখেছিল নিজের হাতে। আপাতত ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে স্মৃতিভ্রংশ হয়েছে সূর্যর। তবে, দীপা সমানে চেষ্টা করে যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।
১৭ বছর বয়স থেকে ছোট পর্দায় কাজ করা শুরু করেন দিব্যজ্যোতি। কলেজের ফার্স্ট ইয়ারেই জয়ী সিরিয়ালের অফার পান। তাই গ্র্যাজুয়েশন করা আর হয়ে ওঠেনি। তবে, বর্তমানে নিউট্রিশনে ডিপ্লমা করছেন। টেলি দুনিয়ায় দিব্যজ্যোতি মেয়েদের ক্রাশ বলা চলে। সৌমিতৃষা থেকে দিতিপ্রিয়া সকলের সঙ্গেই সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।