সদ্য লাদাখ থেকে ফিরেছেন মিউজিক ভিডিওর শ্যুটিং সেরে। আর শহরে ফিরেই মাদক কাণ্ডে ফাঁসলেন রণজয় বিষ্ণু। এমনকী এই বিষয়টি গড়িয়েছে মুম্বই পুলিশ পর্যন্ত। না, এটা রিল লাইফের কোনও সিনেমা বা সিরিয়াল প্লটের গল্প নয়। বাস্তবেই রণজয় এক নতুন ধরনের স্ক্যামে পা দিতে দিতে বেঁচে গিয়েছেন। আর তাঁর সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা অভিনেতা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ভিডিও করে জানিয়েছেন। আর সবাইকে সাবধানও করেছেন।
অভিনেতার কথায় জানা গিয়েছে যে তাঁর নামে এক পার্সেল ক্যুরিয়ার সার্ভিসের কাছে এসেছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৫টি পাসপোর্ট, এমডিএম (মাদক), এছাড়াও কিছু বেআইনি জিনিস। প্রথমে এটা শুনে রণজয় খানিক ঘাবড়ে গেলেও পরে নিজের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে এই নতুন ধরনের প্রতারণা থেকে রক্ষা পান। ফোনে প্রতারণার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশজুড়েই চলছে প্রতারিত করার খেলা। সেরকমই এক প্রতারক চক্রের কবলে পড়েন রণজয়। অভিনেতা ভিডিওতে জানিয়েছেন যে তাঁর কাছে দুদিন আগে একটি ফোন আসে।
অভিনেতা তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেন যে মুম্বই থেকে হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে এবং সেই ফোনে বলা হয় যে তাঁর নামে পার্সেল রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি পাসপোর্ট, মাদক এবং কয়েকটি ল্যাপটপ রয়েছে। বলা হয়, পার্সেলের জন্য টাকা দিতে হবে। যদিও রণজয় স্পষ্টই জানিয়ে দেন যে সেই পার্সেলটি তাঁর নয়। এরপর তাঁর সঙ্গে মুম্বই পুলিশের আন্ধেরি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করানো হয়। সেই সময়ই রণজয় এই প্রতারণার বিষয়টি আঁচ করতে পারেন। তাঁর সঙ্গে এক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ অফিসার বলে কথা বলেন। ওই ব্যক্তি রণজয়কে ফোনে কথা বলতে বলতেই একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলেন এবং ভিডিও কনফারেন্সে কথা না বললে অভিনেতার বড় বিপদ হতে পারে।
তবে রণজয় বুঝে যান এটা পুরোটাই একটা মারাত্মক প্রতারণা চক্র। তিনি ফোনটি কেটে দেন। তবে রণজয় ভিডিও করে সকলকে এই স্ক্যামের বিষয়ে সতর্ক করেন। ভিডিওর ক্যাপশনে অভিনেতা একটি নম্বরও শেয়ার করেছেন যেখান থেকে এই ফোনটি এসেছিল। প্রসঙ্গত, শুধু রণজয় নয় অনেকেই এই নতুন প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রতারণা নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করছেন। তবে রণজয় যে এই ফাঁদে পা দেননি এই রক্ষে।