টেলি দুনিয়ায় বেশ পরিচিত মুখ শ্রুতি দাস। ত্রিনয়নী থেকে জনপ্রিয়তা পান শ্রুতি। এরপর দেশের মাটি, রাঙা বউ সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। গত বছরই শ্রুতি বিয়ে করেন পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে। আর মিসেস সমাদ্দার হওয়ার পর এই প্রথমবার শ্বশুরবাড়ির ভিটেতে পা রাখলেন শ্রুতি। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
শ্রুতি দাস, স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার, টলিপাড়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় জুটি। দুজনের বয়সের বিস্তর পার্থক্য হলেও ভালোবাসায় কোনও কমতি নেই। গত বছর আইনি বিয়ে হলেও সামাজিক বিয়ে তাঁদের এখনও হয়নি। তবে তাঁরা একসঙ্গেই থাকেন একেবারে স্বামী-স্ত্রীর মতোই। বিয়ের পর এই প্রথমবার শ্বশুরবাড়ির ভিটেতে পা রাখলেন শ্রুতি। অভিনেত্রী যে ভিডিও শেয়ার করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, বেশ পুরনো ইট বেরিয়ে যাওয়া একটি বড় বাড়ি। শ্রুতির স্বামী স্বর্ণেন্দু সেই বাড়ির তালা খুলে ভেতরে ঢোকেন। আর তারপরই সেই বাড়িতে পা রাখেন শ্রুতি। এই ভিডিও শেয়ার করে শ্রুতি ক্যাপশনে লেখেন, শ্বশুরের ভিটে গুপ্তিপাড়া, প্রায় কুড়ি পঁচিশ বছর পর এই বন্ধ দরজা খোলা হলো।
শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু ফিরে গিয়েছিলেন গুপ্তিপাড়ায়। হ্য়াঁ, ঠিকই ধরেছেন হুগলির গুপ্তিপাড়ার কথাই বলছি। জায়গাটি চুঁচুড়া সদর মহকুমা ও বলাগড় থানার অধীন। ভাগীরথী নদীর তীরে রয়েছে গুপ্তিপাড়া। আর সেখানেই রয়েছে পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের পৈত্রিক ভিটে। বহু পুরনো সেই বাড়িতেই ফিরে গিয়েছিলেন পরিচালক। সেই মুহূর্তটিই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পরিচালকের স্ত্রী শ্রুতি।
পরিচালকের সঙ্গে এই বাড়ির বহু স্মৃতি যে জড়িয়ে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। বিয়ের পর এই প্রথমবার শ্বশুরবাড়ির ভিটেতে পা রাখলেন শ্রুতি। অভিনেত্রী ভিডিওর পাশাপাশি কয়েকটি ছবিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তাঁকে ঘিয়ে রঙের শাড়ি, লাল রঙের ব্লাউজ এবং সঙ্গে মানানসই গয়না পরে সেজে উঠতে দেখা গিয়েছে। স্বামী স্বর্ণেন্দুকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির ভিটে গুপ্তিপাড়ায় এলেন শ্রুতি। প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হল। অভিনেত্রী যে খুবই আপ্লুত তা বোঝাই যাচ্ছে।
পুজোর কয়েকটা দিন শ্রুতি শ্বশুরবাড়ির পুজোতেই ছিলেন। গতবছরের মতে এই বছরও তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ির দুর্গাপুজোয় উপস্থিত ছিলেন। যদিও পুজোতে অংশ নেওয়ার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে জানাতেই তাঁকে ট্রোলের শিকার হতে হয়। যার ফলে তিনি সেই পোস্ট সরিয়ে দিতে বাধ্য হন। এই বছরও স্বামী স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে সঙ্গেই পুজোর সব কাজে অংশ নিয়েছিলেন শ্রুতি। সেই ছবিও তিনি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। দশমীর দিন স্বর্ণেন্দু রাঙিয়ে দিলেন শ্রুতির সিঁদুর। তবে শ্রুতি এটা জানাতেও ভুললেন না যে বিয়ের পিঁড়িতে বসে এই ছবিটা সেদিন তোলা হবে যেদিন মা চাইবেন। অর্থাৎ সামাজিক বিয়ে সেদিনই হবে যেদিন দুর্গা মা চাইবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ত্রিনয়নী ধারাবাহিকে কাজ করার সময়, শুরু হয়েছিল এই প্রেম সম্পর্কের। দেখতে দেখতে পাঁচ বছর পার। এখন প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর আইনত পরিচয় স্বামী-স্ত্রী।