Advertisement

RG Kar Murder-Tanima Sen: নির্যাতিতার বাড়ি থেকে ফিরে অন্যরকম অভিজ্ঞতা তনিমার, কী হয়েছে অভিনেত্রীর সঙ্গে?

RG Kar Murder-Tanima Sen: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী তনিমা সেন। নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচার চেয়ে নিজের গলা চড়াতে পিছু পা হননি অভিনেত্রী। পুজোর সময় অনেক টলিউড তারকাকেই দেখা গিয়েছিল নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসতে। আর সেই তালিকায় যুক্ত হল তনিমা সেনের নাম।

তনিমা সেন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 Oct 2024,
  • अपडेटेड 2:38 PM IST
  • আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী তনিমা সেন।
  • নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচার চেয়ে নিজের গলা চড়াতে পিছু পা হননি অভিনেত্রী।

আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী তনিমা সেন। নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচার চেয়ে নিজের গলা চড়াতে পিছু পা হননি অভিনেত্রী। পুজোর সময় অনেক টলিউড তারকাকেই দেখা গিয়েছিল নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসতে। আর সেই তালিকায় যুক্ত হল তনিমা সেনের নাম। সম্প্রতি অভিনেত্রী গিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাড়িতে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু এরপরই তিনি তাঁর ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন সকলের সঙ্গে। ফেসবুকে তনিমা তাঁর ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন এটা যে তাঁর সঙ্গে কোনওদিন হতে পারে তিনি ভাবতেও পারেননি। 

ভিডিওর মাধ্যমে তনিমা সেন জানিয়েছেন তিনি নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলেন মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে। আর সেখানে তিনি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন তাতে অভিনেত্রীর গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, হাঁপ ধরে যাচ্ছে। কিন্তু কী এমন হল সেখানে? তনিমা সেন বলেন, 'আমি গিয়েছিলাম অভয়ার বাড়িতে। বেশি ভিড় ছিল না। অভয়ার মা ছিলেন, বাবা ছিলেন। আমি অভয়ার মায়ের পিঠে হাত দিতেই ভদ্রমহিলা আমার বুকের উপর পড়ে হাউহাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন। স্বাভাবিকভাবেই আমার বিভৎস কষ্ট হল। আমিও চুপ করে ওনাকে ধরে দাঁড়িয়ে থাকলাম।' এরপর অভিনেত্রী আরও বলেন,  'কিছুক্ষণ পরে বললাম, আমি আপনাদের কিছু কথা বলতে চাই…। এদিকে আমি যে ছেলেটিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম, সে ৪০ ঊর্দ্ধ একজন। আমি ওকে ভিডিও করতে বললাম। তখন কয়েকজন বলল, ভিডিও করার এখানে নিয়ম নেই। আমি বললাম, আমি ভিডিও করতে চাইছি, কারণ কথাগুলো তুলে ধরতে চাইছি। তখন বাকি সক্কলে বলল, হ্যাঁ, হ্য়াঁ, আপনি ভিডিও করুন, আপনার অন্যান্য ভিডিওগুলোও দেখেছি, আমরা সকলেই বলব।'

বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, 'এদিকে যখন ভিডিও করা হচ্ছে, আরও অনেকেই করেছেন। আমি বললাম, আমি এতদিন আসতে সাহস পাইনি, ওনার মুখের দিতে তাকাতে পারব না তাই। এখানে অনেকেই আছেন। পুলিশ ভাইয়েরাও আছেন। বললাম, আসুন আমরা একটু শক্ত হই, সকলেই ঝাঁপিয়ে পড়ি। কারণ আমরা সকলেই বুঝতে পারছি, একটা বিশাল নোংরামো ঢাকা দেওয়ার জন্য, এটা কুৎসিত ব্যপার ঢাকা দেওয়ার জন্য, ভদ্রমহিলা (মাননীয়া বলতেও এখন আর ভালো লাগে না) এই সমস্ত করছেন। এরপর অভিনেত্রী আরও কিছু কথা বলেন।' 

Advertisement

এরপরই আসল ঘটনা সামনে আসে তনিমা সেনের। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর গাড়িতে উঠে ওই ছেলেটিকে অভিনেত্রী ভিডিওটি তাঁকে ট্রান্সফার করার কথা বলেন। এরপরই ছেলেটি তাঁকে জানায় যে সেই ভিডিওটি ফোনে আর নেই। তনিমাকে এরপর উনি বলেন যে নির্যাতিতার বাড়িতে যিনি প্রথমে ভিডিও-ছবি করতে নিষেধ করছিলেন তিনি ফোনটি তাঁর থেকে নিয়ে ভিডিও ট্রান্সফার করতে চায়। আর সেই ব্যক্তি মনে হয় ডিলিট করে দিয়েছে তনিমা সেনের ভিডিওটি। এরপরই অভিনেত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, 'আমরা কোন রাজত্বে বাস করছি একবার ভাবুন, অতগুলো লোকের মাঝে একদম ফল্গু নদীর মতো মিশে মিশে রয়েছে, আমরা ভাবতেই পারলাম না। এটা একটা অভিজ্ঞতা, এতদূর গেলাম, এতগুলো কথা বললাম, প্রত্যেককে জানানোর জন্য। সেখানে গাড়িতে উঠে শুনলাম, নেই। নেই তো নেইই। ওখানে আরও অনেকজন ছিলেন, বাংলাদেশের একজন ভদ্রলোক বললেন, আমি এটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেব, এইরকম অনেকে অনেককিছু বললেন। তেমনই আমিও আপনাদের বলছি।' 

সবশেষে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, 'আপনারা ভাবুন, আমরা কোথায় বাস করছি! কাকে বিশ্বাস করব? এইরকমভাবে ভাবে যদি ওরা ছড়িয়ে থাকে, তাহলে কাকে বিশ্বাস করবেন? এর আগেও তনিমা সেন সরব হয়েছিলেন শাসক দলের পুলিশ কর্মীদের নিয়ে।      

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement