দিব্যি পুজো উপভোগ করছিলেন গোটা পরিবারের সঙ্গে। হঠাৎ করেই ড্রইংরুমে ঢুকে পড়ল বাঘ, তাও আবার চিতাবাঘ। কী করবেন বলুন তো? এত চিন্তা করবেন না। শাঁখ, ঘণ্টা, থালা-বাসন যা পারবেন বাজাতে শুরু করে দিন, চিতাবাঘ দেখবেন পিছু হটতে শুরু করে দিয়েছে। সেরকম কৌশলই শেখালেন কোন গোপনে মন ভেসেছে সিরিয়ালের অনিকেত ও শ্যামলী। বাস্তবে এমনটা ঘটেনি, পুরোটাই ঘটেছে টেলিভিশনের পর্দায়। আর সেখানেই ঘরে ঢুকে আসা চিতাবাঘ তাড়ানো হল শঙ্খ-থালা বাসন বাজিয়ে। আর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়।
সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে কোন গোপনে মন ভেসেছে সিরিয়ালের প্রোমো। আর সেখানেই এই আজগুবি বিষয়টি দেখানো হয়। প্রোমোর প্রথমেই দেখা যাচ্ছে যে ঝাঁ মায়ের সেবায় ব্যস্ত রয়েছেন অনিকেতের পরিবার। আর সেখানেই চকচকে ড্রয়িং রুমে গর্জন করতে করতে এগিয়ে আসছে চিতাবাঘ। সেই গর্জন শুনে অনিকেত সহ গোটা পরিবার হাজির। হঠাৎই শ্যামলীর মনে পড়ে যে সেও একবার চিতাবাঘের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং সেই সময় বাঘ তাড়ানো হয়েছিল থালা-বাটি বাজিয়ে বিকট শব্দ করে। আর শ্যামলী এখানেও তাই করলেন। প্রথমে নিজে শাঁখ বাজালেন এরপর পরিবারের সকলকে বললেন থালা-বাসন যা পারে সব বাজাতে। ব্যস শ্যামলীর বুদ্ধির কাছে চিতাবাঘও পিছু হটতে শুরু করল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রোমো ভাইরাল হতেই রীতিমতো হাসির রোল উঠেছে। নেটিজেনের একাংশ রীতিমতো ট্রোল করেছে এই সিরিয়ালটিকে। কেউ কেউ লিখেছেন, এই পর্বটা লেখার সময় গাঁজাটা একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিল। আবার কেউ কেউ লিখেছেন, বাঘটা বেড়িয়ে ঠিক কোনদিকে গেল জানলে প্লিজ বলবেন, আমি শাঁখ, ঘণ্টা, কাঁসর সব রেডি করে রাখছি। কেউ লিখেছেন, এই সব দেখার আগে আমার চোখে ছানি পড়ল না কেন? মোদ্দা কথা এই সিরিয়ালে গল্পের গরু যে গাছে উঠেছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
কোন গোপনে মন ভেসেছে যদিও দর্শকদের প্রিয় সিরিয়ালগুলির মধ্যে একটি তা টিআরপিতেই স্পষ্ট। এই সপ্তাহেও এই সিরিয়ালটি প্রথম পাঁচের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। এই সপ্তাহে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কোন গোপনে মন ভেসেছে। তবে জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছে সিরিয়ালটি। এই সিরিয়ালের মাধ্যমেই শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রণজয় বিষ্ণু প্রথমবার জুটি বাঁধলেন।