দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন গায়ক অরিজিৎ সিং। তাঁর কন্ঠের যাদুতে মুগ্ধ আট থেকে আশি সকলে। গোটা বিশ্বে কনসার্ট করে বেড়ালেও অরিজিতের শিকড় এই বাংলাতেই। মুর্শিদাবাদ জেলার ভুমি পুত্র গায়ক অরিজিৎ সিং। যাকে এক নামে সবাই চেনে। কিন্তু জানেন কী অরিজিৎ সিংয়ের রেস্তোরাঁ রয়েছে মুর্শিদাবাদে?
অরিজিৎ সিংয়ের পারিবারিক রেস্তোরাঁ রয়েছে মুর্শিদাবাদের লালবাগ থেকে পাঁচ কিমি দূরে জিয়াগঞ্জে। যার নাম হেঁশেল। সকাল এগারোটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত দেশ বিদেশের অতিথিদের সামলান অরিজিৎ সিংয়ের বাবা সুরেন্দ্র সিং ওরফে কাক্কা সিং এবং হোটেলের ম্যানেজার রাজু। শহরে থাকলে অরিজিৎ নিজেও সেই রেস্তোরাঁতে মাঝে মাঝেই ঢুঁ মারেন। তাই অনেক অতিথিই যান সেখানে গায়ককে দেখার জন্য। এমনিতেই অরিজিতের জনপ্রিয়তা কারণে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ হয়ে উঠেছে অন্যতম ভ্রমণের জায়গা। আর তাঁর পারিবারিক এই রেস্তোরাঁতে গায়ককে দেখার জন্য বাড়ছে ব্লগারদের ভিড়।
সম্প্রতি অরিজিতের রেস্তোরাঁতে ঢুঁ মেরেছিলেন বং গাই কিরণ দত্ত। মুর্শিদাবাদে ঘুরতে গিয়ে কিরণ দত্ত গিয়েছিলেন অরিজিৎ সিং-এর হেঁশেলে। অরিজিৎ সিং-এর হোটেলটির দায়িত্ব মূলত রয়েছে তাঁর বাবা সুরিন্দর সিং-এর কাঁধে। হেঁশেলে পৌঁছে চিকেন থালি অর্ডার করেছিলেন কিরণ। ডুমুর, ডাল, এঁচোড়, স্যালাড-সহ ঝুরঝুরে সাদা ভাত আর বাটিভর্তি চিকেন দিয়ে সাজানো থালি খেয়ে অভিভূত কিরণ। বং গাইয়ের সঙ্গে হেঁশেল রেস্তোরাঁর কর্মীরা সেলফিও তোলেন।
কিন্তু কত টাকায় খাবার মেলে অরিজিৎ সিংয়ের রেস্তোরাঁতে? হেঁশেলে খুব সস্তায় খাবার পাওয়ান যায়। যা এই সময়ে দাঁড়িয়ে আপনাকে অবাক করবে। অরিজিতের হোটেলে খেতে গেলে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয় না। মাত্র ৩০ টাকায় পাওয়া যায় খাবার। এই রেস্তরাঁর দেখভাল করেন গায়কের বাবা সুরেন্দ্র সিংহ ওরফে কাকা সিংহ। ব্যবসায়িক লাভের স্বার্থে নয়, বরং কর্মসংস্থান ও স্বল্পমূল্যে খাবার দেওয়াই লক্ষ্য। এখানকার খাবারের মূল্য একেবারেই সাধ্যের মধ্যে। সকাল ১১টা থেকে রাত ১০.৩০টা পর্যন্ত খোলা অরিজিতের হেঁশেল। পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। মাত্র ৩০ টাকায় ভেজ থালি রয়েছে পড়ুয়াদের জন্য। বর্তমানে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ টাকা। এ ছাড়াও নান থেকে বিরিয়ানি, রয়েছে মুখরোচক খাবার। মূল্য ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।
পড়ুয়াদের মধ্যে পার্সেলের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে গায়ক অরিজিৎ-এর হোটেলে যে একবার আসে বারবার তাকে আসতে হয় পাত পেরে চেটে পুটে খেতে। দৈনিক দুপুরে ভিড় জমান বহু ছাত্র ও ছাত্রীরা । কলেজের পাশেই অবস্থিত এই হেঁশেল।