পুরনো আমলের বাড়ি। বেতের চেয়ারে স্লিভলেস সাদা ব্লাউজ ও প্রিন্টেড শাড়ি পরে বসে রয়েছেন এক মহিলা, হাতে তাঁর খাবারের থালা। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছোট্ট ছেলে, হলুদ টি-শার্ট ও কালো রঙের শর্টস। ছবিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। একরত্তিকে খাইয়ে দিচ্ছে ওই মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ছবিতে যে দুজনকে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা বর্তমানে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং সম্পর্কে ঠাকুমা-নাতি। ছবিতে ওই মহিলার ছেলে ও ছেলের বউও বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত। গোটা পরিবারের রক্তে মিশে থিয়েটার। বর্তমানে ওই মহিলা অসুস্থ। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী চিত্রা সেন ও তাঁর নাতি ঋদ্ধি সেনের কথা। ছবিটি তাঁদেরই।
গত কয়েকদিন ধরেই চিত্রা সেন অসুস্থ। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালেই। রবিবার ছিল চিত্রা সেনের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে ঋদ্ধি তাঁর আম্মাকে শুভেচ্ছা জানাবেন না, তা কী করে হয়। চিত্রাকে যে তাঁর নাতি ঋদ্ধি আম্মা বলে ডাকেন, তা অজানা নয়। আম্মার জন্মদিনে ছোটবেলার স্মৃতি উস্কে দিয়ে ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে ঋদ্ধি লেখেন, ফেলে আসা কবেকার, চেয়ে থাকা কড়িকাঠ/ মাথা ভরা ঝুল আর রংচটা গল্পে/ থেমে যেত এক গাল, বিস্ময়ে, ক্ষণকাল/ পিটপিট পিঁপড়ের মহাকাল ভ্রমণে। এরপর ঋদ্ধি লেখেন, শুভ জন্মদিন আম্মা।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চিত্রা সেন। ছেলে কৌশিক কাজে ব্যস্ত থাকায় পুত্রবধূ রেশমি ও ঋদ্ধি অভিনেত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেই সময় কৌশিক সেন জানিয়েছিলেন যে তাঁর মায়ের সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্যের অভাবে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে এখন সুস্থ আছেন। তবে রবিবার পর্যন্ত হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে রাখতে চেয়েছিল চিত্রা সেনের পরিবার। ঋদ্ধি সেন জানিয়েছেন যে জন্মদিনের দিন তাঁর আম্মা হাসপাতালে, তাই মনটা একটু খারাপ ছিল। তবে রবিবার সকালেই গোটা পরিবার হাসপাতালে পৌঁছে যায়। সেখানেই কেক কেটে চিত্রা সেনের জন্মদিন পালন হয়।
এখন অনেকটা সুস্থ আছেন কৌশিক সেনের মা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সোমবারই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। প্রসঙ্গত, চিত্রা সেনের হাত ধরেই ঋদ্ধির থিয়েটার জগতে প্রবেশ করা। তারপর তো সিনেমার পাশাপাশি ঋদ্ধি সমানতালে থিয়েটারেও অভিনয় করে চলেছেন। তার পাশাপাশি কৌশিক ও রেশমিও নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন।