একসময় অঙ্কুশ হাজরা ও নুসরত জাহানের অনস্ক্রিন জুটি পর্দায় ঝড় তুলেছিল। তাঁদের পর্দার কেমিস্ট্রি দর্শকদের কাছে ছিল খুব পছন্দের। জামাই ৪২০, কেলোর কীর্তি, আমি যে কে তোমার, হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা, বলো দুগ্গা মাইকি, খিলাড়ি, জুলফিকার, একের পর এক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অঙ্কুশ-নুসরত। পর্দার বাইরেও ছিলেন তাঁরা খুবই ভাল বন্ধু। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তাঁদের বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। আর সেটা প্রকাশ পাচ্ছে অঙ্কুশের বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে।
অঙ্কুশ যে তাঁর সহ-অভিনেত্রী নুসরতের ওপর বেজায় চটে রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফের নুসরতের ওপর তাঁর ক্ষোভ পরোক্ষভাবে উগরে দিলেন অঙ্কুশ। এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অঙ্কুশকে এক এক করে টলিউডের সব নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে গান করতে বলা হয়। সেখানে প্রথমেই মিমির নাম করলে অঙ্কুশ বলেন যে তিনি এখন তাঁরই প্রতিবেশী। আর মিমিকে নিয়ে গান করেন মেরে সামনেওয়ালি খিড়কি মে এক চাঁদ কা টুকরা রহতা হ্যায়। এররকমভাবে রুক্মিণী, প্রসেনজিৎ, দেব এঁদের নিয়ে ভাল ভাল গান করেন অঙ্কুশ।
এরপর পালা আসে নুসরত জাহানের। এই নামটা শোনার পরই অঙ্কুশ এক মুহূর্ত না ভেবে গেয়ে ফেলেন ভাগ ভাগ ডিকে বোস গানটি। আর এটা শোনার পর আবার স্পষ্ট হয়ে যায় যে অঙ্কুশ ও নুসরতের মধ্যে সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। আর তার কারণ হল নুসরতের রাজনীতিতে করা কিছু দুর্নীতি। যা অঙ্কুশ বন্ধু হিসাবে মোটেও ভালভাবে দেখছেন না। সকলেই জানেন মিমি চক্রবর্তী অঙ্কুশ হাজরার খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু। মিমিও একটা সময় প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতি করেছেন। যাদবপুর থেকে এমপি হয়েছিলেন, তবে এবার আর ভোটে লড়ছেন না। কিন্তু মিমিকে নিয়ে অঙ্কুশের রাগ-ক্ষোভ কিছুই নেই।
কিছুমাস আগে মির্জা ছবির প্রচারে এসেও অঙ্কুশ এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে নুসরত জাহানকে নিয়ে তিনি কোনও কথাই বলতে চান না। নুসরতকে নিয়ে অঙ্কুশ পরোক্ষভাবেই বলেন যে রাজনীতির কিছুই বোঝেন না অথচ মুখে বড় বড় কথা। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে অঙ্কুশ তাঁর সহকর্মী নুসরতের দুর্নীতিগুলো নিয়েই কথা বলছিলেন।