শহরজুড়ে এখন একটাই সুর আরজি কর কাণ্ডে বিচার চাই। আর সেই বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন আট থেকে আশি সকলেই। পিছিয়ে নেই টলিউড তারকারাও। রাজনৈতিক রংকে ঝেড়ে মুছে সকলে একসঙ্গে পা মিলিয়েছেন এই আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায়। টলিউড অভিনেতা জিতু কমল বরাবরই বাম মনোভাবাসম্পন্ন। শাসক দলের কোনও অনুষ্ঠানেই জিতুকে দেখা যায় না। আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট দিয়েছেন। এবার প্রশ্ন তুললেন কাকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান সকলে। আর অভিনেতার এই পোস্টে অধিকাংশ জানিয়েছেন আর এক মহিলার নাম।
সম্প্রতি জিতু তাঁর ফেসবুজ পেজে লিখলেন, ধরুন, কাল মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলো। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে? আপনি কাকে মনে করেন? এর পাশাপাশি লিখতে ভুললেন না যে এটা এক রাজনৈতিক প্রশ্ন। এরপরই কমেন্ট বক্স ভরে উঠল প্রতিক্রিয়ায়। আর যে নামটি সবচেয়ে বেশি নজরে এল তা হল বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। অধিকাংশ কমেন্টেই কেউ না কেউ উল্লেখ করলেন তাঁরা দেখতে চান এই বামনেত্রীকে। সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষীর জনপ্রিয়তা এখন বেশ তুঙ্গে। তাঁর জনসংযোগও মন্দ নয় বলেই জানিয়েছেন সকলে।
অপরদিকে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জিতুর সুর ক্রমশঃ চড়ছে। রোজই কোনও না কোনও পোস্ট দিচ্ছেন অপরাজিত অভিনেতা। রবিবার টলিউডের প্রতিবাদ মিছিলেও জিতু কমলকে দেখা গিয়েছিল। বরাবরই তিনি বামপন্থায় বিশ্বাসী। যদিও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে ভেঙে পড়ে তিনি লিখেছিলেন CPIM ছেড়ে দিচ্ছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন জিতু। প্রসঙ্গত, রবিবার যুবভারতীর সামনে ইষ্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশি ঝামেলাকে মোটেও সমর্থন করেননি জিতু।
অন্যদিকে আরজি কর কাণ্ডে মাঠে নেমে লড়াই করছেন মীনাক্ষী। ১৪ অগস্ট রাতে আরজি করে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, তার তদন্তে নেমে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ৭ জনকে তলব করেছে পুলিশ। তাতে ধরপাকড় ইতিমধ্যেই শুরু করেছে লালবাজার। এখনও অবধি ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরইমধ্যে ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ৭ জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।